ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আরমান হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় এক শিক্ষার্থীকে ‘তুই-তোকারি’ করা এবং তার দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এ দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিম আমার গায়ে যখন হাত দিল, তখন পা কাঁপছিল লজ্জায়, ক্ষোভে। এই ক্যাম্পাসে ভারী যানবাহনের যাতায়াত, নারী নিপীড়ন, ছিনতাই, চুরি, মাদকাসক্তদের আড্ডাসহ কোনো অপরাধই তারা থামাতে পারে না, শুধু একটা কাজই পারে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন শক্ত হাতে দমন করতে।’
গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনে, অবস্থানরত এক ছাত্রের সাথে রুঢ় আচরণ করে সমালোচিত হন ঢাবির সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান। এরূপ আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তার বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্র আরমানুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। আরমান বলেন, ‘প্রক্টরদের দায়িত্ব ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রতিটি জীবের নিরাপত্তা দেয়া। কিন্তু সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান লিটু স্যার যেটা করলেন তা স্রেফ মাস্তানি ছাড়া কিছুই নয়। প্রক্টরদের দায়িত্ব আমাদের নিরাপত্তা দেয়া। কিন্তু আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম, প্রক্টরিয়াল টিম আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারলেও যখন শিক্ষার্থীদের কোন আন্দোলন চলমান থাকে, তখন তারা অতি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।’
এ সময় তিনি ‘লাঞ্ছনাকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অপসারণ চাই’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন এবং ছাত্রদের সাথে এ ধরণের স্বেচ্ছাচারী আচরণের প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান লিটুকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
সহকারী প্রক্টরের রুঢ় আচরণের বিষয়ে আরমান জানান, ‘সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান লিটু স্যার আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা শুধু আমার সঙ্গে হলো তা নয়, প্রতিদিন কোন না কোন শিক্ষার্থী এ রকম শিক্ষকদের দ্বারা হুমকির শিকার হচ্ছেন। আমার হাতে থাপ্পড় দেয়া, তুই-তোকারি করার প্রতিবাদ না করলে এসব শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করেই যাবে। তাই এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে।’