The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪

পাকিস্তানের ক্ষেপ-ণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় উত্তর আমেরিকার এই দেশটি।

তবে মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞাকে “দুর্ভাগ্যজনক এবং পক্ষপাতদুষ্ট” বলে অভিহিত করেছে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রধারী এই দেশটি। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার জানিয়েছে।

নতুন এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাও রয়েছে। মূলত তারাই দেশটির এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির তত্ত্বাবধান করে থাকে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স এবং তিনটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মূলত “গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং তাদের সরবরাহের উপায়গুলোকে লক্ষ্য করে” এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সত্ত্বার অন্তর্গত যেকোনও সম্পত্তি জব্দ করা হবে এবং একইসঙ্গে আমেরিকানরাও এখন থেকে আর এসব সংস্থার সাথে ব্যবসা করতে পারবেন না।তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় বেশ কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন এই পদক্ষেপ “দুর্ভাগ্যজনক এবং পক্ষপাতদুষ্ট”। এছাড়া “সামরিক অসামঞ্জস্যকে জোরদার করার লক্ষ্যে” আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি করবে।

মূলত পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী ভারতের সাথে পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথার স্পষ্ট উল্লেখ করেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা বলেছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ-ভিত্তিক এনডিসি দেশটির দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-মিসাইল প্রোগ্রাম এবং ক্ষেপণাস্ত্র-পরীক্ষার সরঞ্জামগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো পেতে চেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এনডিসি “পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তৈরি ও উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছে”, যার মধ্যে অত্যাধুনিক শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।

রয়টার্স বলছে, পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। আর এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী সপ্তম দেশ হয়ে ওঠে দেশটি। বুলেটিনে পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে আনুমানিক ১৭০টি ওয়ারহেড রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সাথে আরোপিত অন্যান্য সংস্থাগুলো হলো— অ্যাফিলিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল, আখতার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রকসাইড এন্টারপ্রাইজ, যা করাচিতে অবস্থিত।সংস্থাগুলো এনডিসির সাথে বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়ার জন্য কাজ করেছে। মিলার বলেছেন, “উদ্বেগের বিস্তার এবং সংশ্লিষ্ট ক্রয় কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.