আন্তর্জাতির ডেস্ক: গাজা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে কড়া ভাষায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে তিনি বলেছেন, কয়েক বছর আগে যেভাবে নাৎসিবাদের জনক এডলফ হিটলারকে থামানো হয়েছিল ঠিক সেভাবেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে থামাতে হবে। বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এরদোগান বিশ্বনেতাদের কাছে নেতানিয়াহুর হত্যাকাণ্ডের নেটওয়ার্ক বা জাল ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার আহ্বানও জানান। গাজাকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প আখ্যা দিয়ে অঞ্চলটিতে ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক ভাগ্যের স্বার্থে সমগ্র অঞ্চলকে যুদ্ধে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভাষণে এরদোগান গাজায় গণহত্যা রোধে ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘেরও ব্যাপক সমালোচনা করেন এবং সংস্থাটিকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক ও কার্যকর করার জন্য সংস্কারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ পাঁচ স্থায়ী সদস্যদের স্বার্থের প্রতি খুব বেশি মনোযোগী হওয়ায় সংস্থাটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এরদোগান ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর পরও ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় না আনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি জিম্মি-বন্দি বিনিময় এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এছাড়া তিনি গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তুরস্কের জনগণ ইসরাইলের জনগণের প্রতি কোনো শত্রুতা পোষণ করে না।
এরদোগান আরও বলেছেন, মুসলমানদের যেভাবে আমাদের বিশ্বাসের কারণে লক্ষ্যবস্তু করা হয় আমরা এর বিরুদ্ধে। একই ভাবে আমরা ইহুদিবিদ্বেষেরও বিরুদ্ধে। আমাদের সমস্যা ইসরাইল সরকারের গণহত্যা নীতি নিয়ে। আমাদের সমস্যা নিপীড়ন ও অত্যাচার নিয়ে। ঠিক যেমনটা ছিল ৫ শতাব্দী আগে।