কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে অসাংবিধানিক দাবি করে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের (ওমর-জাহিদ) একাংশ।
বৃহস্পতিবার ( ১লা ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী জামায়াত-বিএনপির ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এসময় শিক্ষকদের একটি পক্ষ অসাংবিধানিক ভাবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আয়োজন করেছে অভিযোগ তোলে এর প্রতিবাদও জানান তারা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের যে অপপ্রচারের পাঁয়তারা চলছে তারই প্রেক্ষিতে আজ এই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আমরা শিক্ষক, কর্মকর্তারা একসঙ্গে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখব এবং আমরা সকল পাঁয়তারা রুখে দিবো।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তার আলোকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে কলংকিত করার চেষ্টা করছে। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে নীল দলের প্যানেলে নিজেদের প্রার্থীতা দাঁড় করালেও কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোন নিবন্ধন নেই তাদের। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (ওমর-রানা) পরিচালিত হয় কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের অনুমোদন দ্বারাই।
এর আগে, ২৯ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র নির্বাচন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (সাইদুল-মুর্শেদ) চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ও কমিশন গঠনে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা করা হয়নি দাবি করে নির্বাচন থেকে বিরত থাকে বঙ্গবন্ধু পরিষদে এই অংশ (ওমর-জাহিদ)।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার সাইদুল-আল-আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুর্শেদ রায়হান সমর্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও অন্যপক্ষ কাজী ওমর ও জাহিদ সমর্থিত গ্রুপের অভিযোগ নির্বাচন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে এবিষয়ে তাদেরকে অবগত করা হয়নি। এতে এক পক্ষ ভোট দিতে কেন্দ্রে আসলেও অন্য পক্ষ নির্বাচনে বাঁধার সৃষ্টি করে। ফলে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।