The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

নামে থাকলেও কাজে নেই নোবিপ্রবির বিজিই উদ্যান

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের উদ্যোগে স্থাপিত বায়োটেকনোলজি উদ্যানটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।নামমাত্র স্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে এই উদ্যানটি।

বিজিই উদ্যানের মূল উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজের সুযোগ তৈরি করা। এখানে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণার মাধ্যমে কৃষি, উদ্ভিদ প্রজনন এবং বায়োটেকনোলজি সম্পর্কিত বিভিন্ন উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের কথা ছিল। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র,

উদ্যানটি তৈরির জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গা নির্ধারণ করা হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার অভাবে তা কার্যকর হয়নি।উদ্যানের গাছপালা নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। অনেক জায়গায় আগাছা জন্মে গেছে।বায়োটেকনোলজি উদ্যানটি শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যত অচল।

সংশিষ্ট দপ্তর হতে জানা যায়,০৭ জুলাই ২০১৫ সালে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ Germplasm Center স্থানপনের জন্য ৫ একর জমির আবেদন জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বিজিই বিভাগের চাহিদার প্রেক্ষিতে ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ততৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো: মুমিনুল হক স্বাক্ষরিত সার্কুলারের মাধ্যমে বিজিই বিভাগ কে গবেষনা কাজের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়।পরবর্তী বছরের ৮ জুন ২০১৬ সালে বরাদ্দকৃত জায়গার গবেষণার কাজে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়ে রেজিস্টার দপ্তরের, এস্টেট শাখা থেকে চিঠি দেয়া হলেও

আজও কোনো প্রতিঃউত্তর পায়নি রেজিস্টার দপ্তরের, এস্টেট শাখা।

বিজিই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, “বিজিই উদ্যানটি মূলত তাদের গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ল্যাবরেটরি বা বৈজ্ঞানিক পরিকাঠামো নেই। ফলে উদ্যানটি তাদের শিক্ষার প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের এ উদ্যানটি সংস্কার ব্যাপারে অবগত করলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেননি।”

এ বিষয়ে বিজিই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মো: মফিজুল ইসলাম বলেন,” আমি ডিপার্টমেন্টে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হই ২০২১ সালে তৎকালীন সময়ে এ উদ্যানটিতে কাজ শুরু করতে চাইলে জন্য প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা পাইনি। নতুন প্রশাসনের সহযোগীতায় উদ্যানটি আমরা সচল করার উদ্যোগ নিয়েছি এবং উদ্যানকে ঘিরে ২ টি প্রজেক্ট জমা দিয়েছি সেগুলো হল গ্রীণ হাউজ ও মাশরুম কালচার স্থাপন করা।আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের বিভাগের জন্য বরাদ্দাকৃত বাজেটের বেশির ভাগই আমরা বিজিই উদ্যানকে সচল করার কাজে ব্যবহার করবো।আমরা আশা করছি অচিরেই বিজিই উদ্যানের কাজ শুরু করতে পারবো।”

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন,”বিজিই উদ্যান নামের জায়গাটি ফিল্ড রিসার্চের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল বর্তমানে যেহেতু এটার কার্যক্রম হচ্ছে না এ বিষয়ে আমি বিজিই বিভাগের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.