র্যাপার আলী হাসান ‘ব্যবসার পরিস্থিতি’ গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান। সবশেষ কোক স্টুডিও বাংলার ‘মা লো মা’ গানে কণ্ঠ দিয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
সম্প্রতি এই গায়ক আলোচনায় এসেছেন একটি টিভি অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে গানকে হারাম দাবি করে।
সেই অনুষ্ঠানে আলী হাসান বলেন, ‘গান-বাজনার টাকা হারাম। এত হাদিস চলবে না। যেটা হারাম, হারাম-ই। আমার অটো বিজনেসের টাকা হালাল। সংগীত থেকে আয় হচ্ছে হারাম। এ জন্য ব্যবসার টাকায় (হালাল আয়) বাজার-সদাই করি, আর মিডিয়ার টাকায় (হারাম আয়) বিল্ডিং তৈরি করি। মিলাই-ঝিলাই করতেছি।’
গান নিয়ে এমন বন্তব্যের পর নেটিজেনদের রোষানলে পড়েছেন আলী হাসান। এই ইস্যুতে পর আলী জানিয়েছেন নিজের গানে ব্যবহার করবেন না বাদ্যযন্ত্র। গাইবেন ইসলামি গান।
গণমাধ্যমকে আলী হাসান বলছেন, তার বক্তব্য অনেকে বুঝতে পারেননি। আলীর ভাষ্য, ‘আসলে আমি বলতে চেয়েছি, গানে যে বাদ্য-বাজনা ব্যবহার হয়, তা আমাদের ধর্মে হারাম। সেই কাজগুলো ছেড়ে দিতে চাই। পুরো ইন্টারভিউটা দেখলে আপনার হয়তো আমার মনের কথাটা বুঝতে পারবেন। ছোট একটি ক্লিপস দেখে, কাউকে বিচার করবেন না। যদি আমার অসৎ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে এ বিষয়ে কথা বলতাম না। আমি প্রায় এক ঘণ্টার একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছি। এর মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। অনেক প্রশ্নের উত্তর মজা করে দিয়েছি। আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর ওভাবে গুছিয়ে বলতে পারিনি। আর যেটা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে—সেটা মজার ছলে বলেছি।’
আলী হাসান জানান, বাদ্যযন্ত্র ছেড়ে দিলেও মিডিয়ায় থাকবেন তিনি। র্যাপ বা আধুনিক গান ছাড়লেও ভবিষ্যতে ইসলামী সংগীতের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছা আছে তাঁর।
এ প্রসঙ্গে র্যাপারের ভাষ্য, ‘বর্তমানে গান ও অটো ব্যবসা দুটো মিলিয়েই চলছি। ধীরে ধীরে গান থেকে সরে আসব। বেশ কয়টি গানের কাজ হাতে আছে। সেগুলো শেষ করে গান ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আমার শেষ গানের শিরোনাম হবে ‘ইসলাম’। এটি তৈরি করার পর আর গান লিখব না। প্রকাশের পর মানুষ হয়তো বুঝতে পারবে, কেন আমি গান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’