শুরুটা ভাল হলো না ব্রাজিলের জন্য। র্যাঙ্কিংয়ে ৫২তম স্থানে থাকা কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের কোপা আমেরিকা মিশন শুরু হয়েছে সেলেসাওদের জন্য। নিজেদের থেকে ৪৭ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে সহজ এক জয়ই প্রত্যশা করেছিলেন ব্রাজিলের ভক্তরা। কিন্তু ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি মাঠে থাকা ১১ তারকার।
একের পর এক গোল মিসে হতাশ করেছেন ব্রাজিলের তারকায় ঠাসা দলটি। এক গোল বাতিলের পর দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক মিস করে কেবল হতাশাই বাড়িয়েছেন দোরিভাল জুনিয়র শিষ্যরা। লুকাস পাকেতা, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনহাদের নিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন কোচ দোরিভাল জুনিয়র। বদলি হিসেবে নেমেছিলেন এন্ড্রিক ফিলিপে। শেষ দিকে গোলের আশায় গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লিকেও নামানো হয়েছিল। কিন্তু হতাশাটাই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হয়েছে তাদের।
প্রথমার্ধে ব্রাজিলের বলার মতো সুযোগ ছিল কম। ৯ শট নিয়ে কেবল ২টিই ছিল অন টার্গেটে। মাঝে মার্কিনিওস এক গোল করলে তা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির বাগড়ায় লিড নেয়া হয়নি ৯বারের চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল হয়ে উঠলো আরও বেশি আক্রমণাত্মক।
বিরতির পর শুরু থেকেই কোস্টারিকার কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছে ব্রাজিলের অ্যাটাকিং লাইনআপ। বল দখল, গোলে শট সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল সেলেসাওরা। কিন্তু কাজের কাজটা করা হয়নি। এমনকি ৬৩ মিনিটে লুকাস পাকেতার শট সবাইকে ফাঁকি দিলেও ফিরে আসে গোলবার থেকে। এরপরেই ব্রাজিল কোচ মাঠে নামান এন্ড্রিককে। ব্রাজিলের খেলার ধার বাড়ে আরেকদফায়।
মাঠে নেমেই স্কোরশিটে নাম তুলতে পারতেন এন্ড্রিক। কিন্তু তাকে হতাশ করেছেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক প্যাট্রিক সেকুইয়েরা। পুরো ম্যাচেই তিনি ছিলেন অসাধারণ। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে অন্তত দুইবার দলকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ৭৯ মিনিটে গুইলার্মো অ্যারানার ডিবক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট যেভাবে ফিরিয়েছেন, তাতে বিষ্ময় জাগাটাই স্বাভাবিক।
বদলি নামা ব্রুনো গিমারায়েসও সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি কেউই। একেবারে কোস্টারিকার রক্ষণ কাঁপিয়ে বল বেরিয়ে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে। শেষ পর্যন্ত গোল না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। এই ড্রয়ের ফলে কোপা আমেরিকার ডি গ্রুপে ১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রইল ব্রাজিল। কলম্বিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে আছে এই গ্রুপের শীর্ষে।