প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেড় একর, দুই একর, তিন একর তার মধ্যে তো অনেক কিছু করে ফেলছে। কোনও কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত ভালো মানের শিক্ষা দিচ্ছে। তাহলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেই শ’ শ’ একর জমি হতে হবে তার কোনও মানে নেই। জমির ব্যবহার যৌক্তি হতে হবে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যিালেয়ের আয়তন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জমি কোথাও কোথাও প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। আবার কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় জমি কম আছে। ডুয়েটের যে জমি আছে আমার মনে হয় তার চেয়ে বেশি দরকার। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি জায়গা লাগে। কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম কতটুকু জমি দরকার চিন্তা করতে হবে। সবচেয়ে কম কতটুকুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কতটুকু দিতে পারি সেইভাবে চিন্তা করতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেড় একর, দুই একর, তিন একর তার মধ্যে তো অনেক কিছু করে ফেলছে। কোনও কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত ভালো মানের শিক্ষা দিচ্ছে। তাহলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেই শ’ শ’ একর জমি হতে হবে তার কোনও মানে নেই। জমির ব্যবহার যৌক্তি হতে হবে।
কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা নিয়ে দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন— মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় দারিদ্র যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। সকল শিক্ষার্থীকেই যে উচ্চশিক্ষা নিতে হবে তার কোন মানে নেই। পৃথিবীতে কোথাও নেয় না। যত বেশি উন্নত দেশ দেখবেন তারা তত বেশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর বেশি জোর দিয়েছে। ভর্তিতে বেশি জোর কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়। আমাদের এখানে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির একটা সমস্যা আছে। আমাদের এখানে মনে করা হয় যারা ডিপ্লোমা করেন তারা কম মেধাবী কিংবা তারা হয়ত অর্থনৈতিকভাবে ততটা স্বচ্ছল নন। সে জন্যই তরা ডিপ্লোমা পড়ছেন। কিন্তু ডিপ্লোমা পড়ে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে। কয়জন অনার্স পাস করেই চাকরি পায়। বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও চাকরি পান না। সে ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন দরকার আছে।
তিনি আজ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) এর প্রতিষ্ঠার ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।