The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

স্বার্থপর পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নাম ‘মা’

ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ মা হচ্ছে আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। মা আমাদের জন্মদান করেন, লালন পালন করেন এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাধ্যমে গড়ে তোলেন । মায়ের ভালোবাসা খাঁটি, নিঃস্বার্থ এবং চিরন্তন। মা তার সন্তানদের জন্য তার নিজের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাকে উৎসর্গ করেন, সর্বদা তাদের অগ্রাধিকার দেন।

মায়েরা আমাদের দুঃখের সময় আমাদের সান্ত্বনা দেয় এবং যখন আমরা হারিয়ে যাই তখন আমাদের পথ দেখায়। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক এবং চিয়ারলিডার, সবসময় আমাদের সেরা হওয়ার জন্য চাপ দেয়। মায়েদের আমাদের মধ্যে সেরাটি দেখার একটি অনন্য ক্ষমতা রয়েছে, এমনকি যখন আমরা এটি নিজেদের মধ্যে দেখতে পাই না।

একজন মায়ের ভালবাসা একটি শক্তি যা সমস্ত বাধাকে জয় করতে পারে। এটি এমন একটি বন্ধন যা সারাজীবন স্থায়ী হয় এবং কিছুই কখনও এটি ভাঙতে পারে না। আমরা বৃদ্ধ হতে পারি, কিন্তু আমরা সবসময় আমাদের মায়ের সন্তান হয়ে থাকব।

সেই মা কে আজ বিশেষভাবে স্মরণ করার দিন। আজ মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার, বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটি মা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। সব দেশে একই দিনে উদযাপন করা হয় এমন নয়। তবে অধিকাংশ দেশেই মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে ‘মা দিবস’ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ বাংলাদেশেও উদযাপন করা হবে মা দিবস। দিবসটি সম্পর্কে কম বেশি সবাই এখন অবগত। বিশেষ করে এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অসীম হৃদয়াবেগ ও ভালবাসায় দিবসটি উদযাপন করে। আজকের মা দিবসে মা থেকে দূরে থাকা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(যবিপ্রবি) এর শিক্ষার্থীরা তাদের মায়ের প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

জারিন তাসনিমঃ মা সম্পর্কে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম বলেন -যেখান থেকে সমস্ত ভালোবাসার গল্প শুরু হয়, যেখান থেকে শান্তির গন্ধ ভেসে আসে, যেখানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায় সেই জায়গাটা হলো মা। ৩৫০ কিলোমিটার দূরে থেকেও শুধুমাত্র মেয়ের ভয়েস শুনেই বুঝে ফেলেন তাঁর মেয়ে ভালো নেই তিনিই হচ্ছেন মা। কেউ একজন বলেছিলেন মায়ের ভালোবাসা খরগোশের মতো নরম, বলদের মতো শক্তিশালী। সত্যিই তাই। মা আমাদের জীবনের ধ্রুব সত্য, পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের নিজেদের কষ্টগুলো খুচরো পয়সার মতো জমা রাখতে পারি। বিনিময়ে পাই ভালোবাসা, ভরসা, সাহস, প্রেরণা। বাইরে থেকে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে বাসায় এসে মায়ের মুখটা সবার আগে দেখতে চাওয়াটা যেন আমার একটা অমলিন অভ্যেস। কতকটা বৃষ্টির সময়ে তেলেভাজা খাবারের মতোই অনিবার্য।

আজকে মা দিবসে মা কে নিয়ে লেখার মতো হাজার কথা মনে ভাসলেও কেন জানি কিছু লিখতে পাচ্ছি না। এই দিনটাতে পৃথিবীর সমস্ত মায়েদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। আর নিজের মায়ের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা উদ্ভট চাওয়া হচ্ছে, আমার মায়ের যেন কখনো বয়স না বাড়ে।

সামিউর রহমান তুর্জঃ মায়ের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউর রহমান তুর্জ বলেন-“মা” স্বার্থপর পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,বিশ্বাস ভাঙার রাজ্যে একমাত্র আস্থার প্রতীক। যে মহিয়সী বাঁচতে শেখায়,যার কষ্টের প্রতিটি পৃষ্ঠায় রচিত হয়েছে আমাদের জীবন প্রস্ফুটনের ইতিহাস।

দশ মাস দশ দিনের অসহ্য প্রসব বেদনাকে তাচ্ছিল্য করে যিনি দেখিয়েছেন রঙিন অরুনরাঙা, তার হাত ধরেই আজ নিজের শিকড়কে করেছি আরও শক্ত,নিয়ে গেছি গভীরের অন্তর্জালে। হাঁড়িতে থাকা শেষ ভাতটুকু আমাদের মুখে ঠাঁই হয় তাঁর খিদে কে ফাঁকি দিয়ে। নিজের সুখের শেষ সম্বলটুকু বিলিয়ে দেন গর্ভে লালন করা প্রাণীটির মুখে একটু হাসি ফোটানোর আশায়।

ভালো থাকুক সন্তানের জন্য নিজেকে উজার করে দেয়া প্রতিটি গর্ভধারিণী। মায়ের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ছড়িয়ে যাক অসীমের শেষ দিগন্ত পর্যন্ত,মমতার এক স্নেহের মেলবন্ধনের আদি থেকে অন্তে পূর্নতা পাক হাজারো প্রজায়িনীদের জীবনযুদ্ধের শেষ সাফল্যটুকু।

সাঈদ আফ্রিদিঃ মা দিবসে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ এ ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়ো সাইন্স বিভাগের এর শিক্ষার্থী সাঈদ আফ্রিদি বলেন-মায়ের স্পর্শেই সন্তান ধীরে ধীরে পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে উচ্চাসীন করেছে। ৩৬৫ দিনের প্রতিটি সেকেন্ডেই মনে করতে চাই ‘মা’ শব্দটিকে। মা, আম্মা, আম্মি, মাম্মি সন্তানেরা যে যেভাবে ডাকুক; এই শান্তির ডাক শতকিছুর বিনিময়েও অন্য কোনো শব্দের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। বিভিন্ন ভাষাভাষীর সন্তানের কাছে ‘মা’ ডাক শব্দটি কতই না আপন। প্রথম দিন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন হয় না। মা তাই আমাদের কাছে অতুলনীয়, তিনি অনন্য। কিন্তু সেই অতুলনীয় মানুষটিকে অনেক সময় তাঁদের সন্তানেরা উপযুক্ত প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়। তখনো মা আগের মতোই তাঁর সন্তানের জন্য মঙ্গল কামনা করেন।

তেীফিকুল ইসলাম লিমনঃ বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তেীফিকুল ইসলাম লিমন মা কে নিয়ে বলেন – Sacrifice , Compromised , Love and Attraction,Caring শব্দ গুলোর ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বিশিষ্ট শব্দ । আর এতো বড়ো এই পৃথিবীর , এতোগুলো মানুষ, এতো গুলো কাছের মানুষের মাঝে যদি শব্দগুলোর পূর্ণতা পূর্ণভাবে খুঁজতে যায় তখন সবগুলো মানুষের মধ্যেই যেন কিছু না কিছু অপূর্ণতা থেকেই যায়, সেই পূর্ণতা পায় একজন মানুষের মধ্যে,সেটা হলো,,”মা”। পৃথিবীতে যদি শান্তি খুঁজি তাহলে সেটা মায়ের কোল ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো স্থানে খুঁজে পাওয়া যাবে না।। ”মা” কি? যদি প্রশ্ন করে উত্তর টা জানতে চাওয়া হয় তখন উত্তর শুধু একটাই থাকে ”মা হলো জীবনের পূর্ণতা”। যখন কষ্টে থাকি তখন সবার সাথে অভিনয় করে বোঝায় আমি অনেক ভালো আছি! কিন্তু মা একটু কথা শুনেই প্রশ্ন করে ” কি হয়েছে? মন খারাপ কেন? এইজন্যই হয়তো, আল্লাহ তায়ালা সব থেকে বড়ো উপহার “মা”।ভালোথাকুক পৃথিবীর সকল মা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. স্বার্থপর পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নাম ‘মা’

স্বার্থপর পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নাম ‘মা’

মা দিবসে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ মা হচ্ছে আমাদের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। মা আমাদের জন্মদান করেন, লালন পালন করেন এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাধ্যমে গড়ে তোলেন । মায়ের ভালোবাসা খাঁটি, নিঃস্বার্থ এবং চিরন্তন। মা তার সন্তানদের জন্য তার নিজের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাকে উৎসর্গ করেন, সর্বদা তাদের অগ্রাধিকার দেন।

মায়েরা আমাদের দুঃখের সময় আমাদের সান্ত্বনা দেয় এবং যখন আমরা হারিয়ে যাই তখন আমাদের পথ দেখায়। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক এবং চিয়ারলিডার, সবসময় আমাদের সেরা হওয়ার জন্য চাপ দেয়। মায়েদের আমাদের মধ্যে সেরাটি দেখার একটি অনন্য ক্ষমতা রয়েছে, এমনকি যখন আমরা এটি নিজেদের মধ্যে দেখতে পাই না।

একজন মায়ের ভালবাসা একটি শক্তি যা সমস্ত বাধাকে জয় করতে পারে। এটি এমন একটি বন্ধন যা সারাজীবন স্থায়ী হয় এবং কিছুই কখনও এটি ভাঙতে পারে না। আমরা বৃদ্ধ হতে পারি, কিন্তু আমরা সবসময় আমাদের মায়ের সন্তান হয়ে থাকব।

সেই মা কে আজ বিশেষভাবে স্মরণ করার দিন। আজ মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার, বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটি মা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। সব দেশে একই দিনে উদযাপন করা হয় এমন নয়। তবে অধিকাংশ দেশেই মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে ‘মা দিবস’ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ বাংলাদেশেও উদযাপন করা হবে মা দিবস। দিবসটি সম্পর্কে কম বেশি সবাই এখন অবগত। বিশেষ করে এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অসীম হৃদয়াবেগ ও ভালবাসায় দিবসটি উদযাপন করে। আজকের মা দিবসে মা থেকে দূরে থাকা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(যবিপ্রবি) এর শিক্ষার্থীরা তাদের মায়ের প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

জারিন তাসনিমঃ মা সম্পর্কে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম বলেন -যেখান থেকে সমস্ত ভালোবাসার গল্প শুরু হয়, যেখান থেকে শান্তির গন্ধ ভেসে আসে, যেখানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যায় সেই জায়গাটা হলো মা। ৩৫০ কিলোমিটার দূরে থেকেও শুধুমাত্র মেয়ের ভয়েস শুনেই বুঝে ফেলেন তাঁর মেয়ে ভালো নেই তিনিই হচ্ছেন মা। কেউ একজন বলেছিলেন মায়ের ভালোবাসা খরগোশের মতো নরম, বলদের মতো শক্তিশালী। সত্যিই তাই। মা আমাদের জীবনের ধ্রুব সত্য, পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের নিজেদের কষ্টগুলো খুচরো পয়সার মতো জমা রাখতে পারি। বিনিময়ে পাই ভালোবাসা, ভরসা, সাহস, প্রেরণা। বাইরে থেকে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে বাসায় এসে মায়ের মুখটা সবার আগে দেখতে চাওয়াটা যেন আমার একটা অমলিন অভ্যেস। কতকটা বৃষ্টির সময়ে তেলেভাজা খাবারের মতোই অনিবার্য।

আজকে মা দিবসে মা কে নিয়ে লেখার মতো হাজার কথা মনে ভাসলেও কেন জানি কিছু লিখতে পাচ্ছি না। এই দিনটাতে পৃথিবীর সমস্ত মায়েদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। আর নিজের মায়ের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে একটা উদ্ভট চাওয়া হচ্ছে, আমার মায়ের যেন কখনো বয়স না বাড়ে।

সামিউর রহমান তুর্জঃ মায়ের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউর রহমান তুর্জ বলেন-"মা" স্বার্থপর পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,বিশ্বাস ভাঙার রাজ্যে একমাত্র আস্থার প্রতীক। যে মহিয়সী বাঁচতে শেখায়,যার কষ্টের প্রতিটি পৃষ্ঠায় রচিত হয়েছে আমাদের জীবন প্রস্ফুটনের ইতিহাস।

দশ মাস দশ দিনের অসহ্য প্রসব বেদনাকে তাচ্ছিল্য করে যিনি দেখিয়েছেন রঙিন অরুনরাঙা, তার হাত ধরেই আজ নিজের শিকড়কে করেছি আরও শক্ত,নিয়ে গেছি গভীরের অন্তর্জালে। হাঁড়িতে থাকা শেষ ভাতটুকু আমাদের মুখে ঠাঁই হয় তাঁর খিদে কে ফাঁকি দিয়ে। নিজের সুখের শেষ সম্বলটুকু বিলিয়ে দেন গর্ভে লালন করা প্রাণীটির মুখে একটু হাসি ফোটানোর আশায়।

ভালো থাকুক সন্তানের জন্য নিজেকে উজার করে দেয়া প্রতিটি গর্ভধারিণী। মায়ের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ছড়িয়ে যাক অসীমের শেষ দিগন্ত পর্যন্ত,মমতার এক স্নেহের মেলবন্ধনের আদি থেকে অন্তে পূর্নতা পাক হাজারো প্রজায়িনীদের জীবনযুদ্ধের শেষ সাফল্যটুকু।

সাঈদ আফ্রিদিঃ মা দিবসে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ এ ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়ো সাইন্স বিভাগের এর শিক্ষার্থী সাঈদ আফ্রিদি বলেন-মায়ের স্পর্শেই সন্তান ধীরে ধীরে পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে উচ্চাসীন করেছে। ৩৬৫ দিনের প্রতিটি সেকেন্ডেই মনে করতে চাই ‘মা’ শব্দটিকে। মা, আম্মা, আম্মি, মাম্মি সন্তানেরা যে যেভাবে ডাকুক; এই শান্তির ডাক শতকিছুর বিনিময়েও অন্য কোনো শব্দের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। বিভিন্ন ভাষাভাষীর সন্তানের কাছে ‘মা’ ডাক শব্দটি কতই না আপন। প্রথম দিন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন হয় না। মা তাই আমাদের কাছে অতুলনীয়, তিনি অনন্য। কিন্তু সেই অতুলনীয় মানুষটিকে অনেক সময় তাঁদের সন্তানেরা উপযুক্ত প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়। তখনো মা আগের মতোই তাঁর সন্তানের জন্য মঙ্গল কামনা করেন।

তেীফিকুল ইসলাম লিমনঃ বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তেীফিকুল ইসলাম লিমন মা কে নিয়ে বলেন - Sacrifice , Compromised , Love and Attraction,Caring শব্দ গুলোর ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বিশিষ্ট শব্দ । আর এতো বড়ো এই পৃথিবীর , এতোগুলো মানুষ, এতো গুলো কাছের মানুষের মাঝে যদি শব্দগুলোর পূর্ণতা পূর্ণভাবে খুঁজতে যায় তখন সবগুলো মানুষের মধ্যেই যেন কিছু না কিছু অপূর্ণতা থেকেই যায়, সেই পূর্ণতা পায় একজন মানুষের মধ্যে,সেটা হলো,,''মা''। পৃথিবীতে যদি শান্তি খুঁজি তাহলে সেটা মায়ের কোল ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো স্থানে খুঁজে পাওয়া যাবে না।। ''মা'' কি? যদি প্রশ্ন করে উত্তর টা জানতে চাওয়া হয় তখন উত্তর শুধু একটাই থাকে ''মা হলো জীবনের পূর্ণতা"। যখন কষ্টে থাকি তখন সবার সাথে অভিনয় করে বোঝায় আমি অনেক ভালো আছি! কিন্তু মা একটু কথা শুনেই প্রশ্ন করে " কি হয়েছে? মন খারাপ কেন? এইজন্যই হয়তো, আল্লাহ তায়ালা সব থেকে বড়ো উপহার "মা"।ভালোথাকুক পৃথিবীর সকল মা।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন