The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

দুবাই প্রবাসীর প্রতারণা ও হামলার শিকার খুবির শিক্ষার্থী

খুবি প্রতিনিধি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বাংলা বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল নোমানের ‘এ্যাংকর সম্রাট’ এবং ‘এ্যাকশান সুজের’ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুবাই প্রবাসী আল- আমিন নামে এক ব্যক্তির প্রতারণা ও হামলার শিকার হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারী) বিকেল ৫টায় ডাকবাংলা মোড় ( খুলনা) সংলগ্ন দোকানে দূর্বৃত্তরা ভরা জনসম্মুখে দল-বল নিয়ে হামলা করে।

খুবি শিক্ষার্থী আল নোমান বিগত সাত বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে তার পারিবারিক ব্যবসা খুলনা ডাকবাংলা মোড়ে এ্যাংকর সম্রাট এবং এ্যাকশান সুজের ব্যবসা করে আসছেন। এর মধ্যে কয়রাবাসীন্দা দুবাই প্রবাসী আল- আমিন নামে এক প্রতারকের সাথে অংশীদারি ব্যবসায়ে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি অনুসারে খুবি শিক্ষার্থী (আল- নোমান) তার পিতার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে আল-আমিন এর ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। প্রতি মাসের লাভের লভ্যাংশ প্রথম ছয়মসে দিয়ে থাকলেও পরবর্তী মাস থেকে টাকা দিতে দেরি করতে থাকে। সব কিছু তদারকি করে সন্দেহ মনে হলে, নতুন চুক্তি করে ২০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। বাকি ৩০ লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে লাভ্যাংশ সহ চুক্তি হয় গতবছরের (২০২৩ সাল) আগষ্ট মাস পর্যন্ত।

কিন্তু চুক্তি শেষ হওয়ার পরও পাওনার ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকেন আল আমিন নামের কয়রা উপজেলা দুবাই প্রবাসী এ ব্যক্তি।

এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার জানান, দুবাই প্রবাসী আল আমিন গত তিন মাস আগে দেশে আসলে ফোনে এবং সরাসরি বহুবার তার সাথে কথা হয়েছে। সে প্রতিবার নানা তারিখ এ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিস্রুতি দিতে থাকে। আমাদের ব্যবসায়িক ভাবনা ও তার সাথে সম্পর্কে কারণে আমারা কখনো তাকে অবিশ্বাস করি নাই। কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারী) টাকা দেওয়ার তারিখ থাকলেও সে টাকা না দিয়ে উল্টো লোকজন নিয়ে আমাদের ডাকবাংলা দোকান এ্যাংকর সম্রাটে ভাংচুর ও হামলা চালায়। সিসিটিভির ডি আর মেশিন ছিনতাই করে। বাকি ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।

আল নোমান বলেন, আমি খুলনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি । হামলায় আমি সহ আমাদের দোকানের কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছে। দোকান ভাংচুরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রান নাশের হুমকিতে মানসিক ভাবে খুব বির্পযয়ের আছি। একই সঙ্গে ব্যবসার মূলধনের ৩০ লক্ষ টাকা পাবো কিনা তা জানিনা ! প্রতারক আল- আমিনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমার কাছে যে মূল নথিপত্র সেগুলো নিয়ে নেওয়া। যখন তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি তখন আমার দোকান ভাঙচুর এবং আমাদের উপর হামলা করে চলে যায়। আমি আমার ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত চাই। এ প্রতারক যেন কারো সাথে এমন প্রতারণা না করতে পারে তার জন্য সঠিক তদন্ত করে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

নির্ভর যোগ্য তথ্যে জানা যায় আল আমিন কয়রার বাসিন্দা বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। কয়রার আরেকজন ব্যবসায়ি গাজী আসাদের নয়লক্ষ টাকা দুবাইতে লোক নেওয়ার কথা বলে প্রতারণা র মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.