চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ পরীক্ষার্থী কমেছে। এ বছর এসব পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। আর গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। রবিবার (১২ জুন) আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।
এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুটি কারণে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে। প্রতিবছর দুই থেকে আড়াই লাখের কাছাকাছি অনিয়মিত পরীক্ষার্থী থাকে।
তিনি বলেন, এবার পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশ্নপত্রের এমসিকিউ অংশের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল (সিকউ) অংশের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট নির্ধারিত থাকবে। যেহেতু গত দুই বছরের মধ্যে একবার শতভাগ পাস (পরীক্ষা ছাড়াই) করেছে। আরেক বছর পাসের হার ছিল ৯৪ শতাংশের মতো। সে কারণে অনিয়মিত শিক্ষার্থী এবার প্রায় নেই বললেই চলে।
আগামী ১৯ জুন ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। সবগুলো পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ জুন বাংলা প্রথম পত্র (১০১) ও সহজ বাংলা প্রথম পত্রের (১০৩) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ০৬ জুলাই। এরপর ১৩ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। এ পরীক্ষা আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন করে, তাদের একটি অংশ পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করে না। আগের দুটো বছরে যেহেতু একবার পরীক্ষাই হয়নি, যা আগে থেকেই বলা হয়েছিল। আবার গত বছর মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এ জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল, তাদের প্রায় সবাই ফরম পূরণ করেছিল।
‘‘কিন্তু এবার যেহেতু পরীক্ষা হবে, তাই আগের মতোই যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল, তাদের সবাই পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেনি। এ দুটি কারণ মিলিয়েই এবার পরীক্ষার্থী কমেছে।’’
চলতি বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশের ২৯ হাজার ৫১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারও আগের মতো পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় এবং দেরি হওয়ার কারণ রেজিস্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবার পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশ্নপত্রের এমসিকিউ অংশের জন্য ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল (সিকউ) অংশের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট নির্ধারিত থাকবে।