The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

দাফনের ৫৮ দিন পর ছাত্র আন্দোলনে নিহত মিলনের লাশ উত্তোলন

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলনের লাশ দাফনের ৫৮ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়।

লাশ উত্তোলনের সময় রংপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত বলেন, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত মুসলিম উদ্দিন মিলনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মুসলিম উদ্দিন মিলন গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পরদিন ২০ জুলাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করা হয়। মুসলিম উদ্দিন মিলন নগরীর পূর্ব গনেশপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর দেওয়ানবাড়ী সড়কের একটি জুয়েলার্সে স্বর্ণশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এদিকে গত ২৭ আগস্ট নিহতের সহধর্মিণী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে রংপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৮ থেকে ১৭নং আসামিদের প্ররোচনা ও উসকানিতে ১ থেকে ৭নং আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭নং আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে লাশের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।

এদিকে মামলা দায়েরের ৫ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে সাবেক বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন এবং সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী নিহত মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার। সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.