The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪

ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বাবার ছেলে মেডিকেলে প্রথম

ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৪ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী রাফসান জামান।

ছেলের এমন কৃতিত্বে আনন্দিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বাবা একেএম শামসুজ্জামান। রাফসানের বাবা নিজেও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে চাকরি করছেন।

রাফসানরা এক ভাই এক বোন। বড় বোন সাদিয়া ইবনাত চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন।

শামসুজ্জামান বলেন, আমাদের ছেলে মেধাবী সেটি আমরা নিশ্চিত। কিন্তু এতো ভালো ফলাফল করবে সেটা আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ছেলে মেডিকেলে প্রথম হয়েছে শুনে আমি অবাক হয়েছি। পড়ালেখার প্রতি তার যে মনোযোগ সেটিই তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।

ফল প্রকাশের পর গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফসান জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের প্রতি কোনোভাবেই আসক্ত ছিলেন না তিনি। পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কোচিং সেন্টারের কিছু তথ্য আদান প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান জেনারেশন মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়েছে। যার কারণে পড়াশোনার চেয়ে অন্য বিষয়ে মনোযোগী হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।

নিজের সফলতা সম্পর্কে রাফসান বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কনফিডেন্স ছিল কিন্তু প্রথম হবো এটা ভাবিনি। প্রথম যখন রেজাল্ট শুনেছিলাম তখন বিশ্বাস হয়নি। দুপুরের পর কোচিং থেকে ফোন করে রেজাল্ট জানানো হয়। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে নিজের চোখে রোল নম্বর দেখে বিশ্বাস করি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. পরীক্ষা ও ফালাফল
  3. ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বাবার ছেলে মেডিকেলে প্রথম

ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বাবার ছেলে মেডিকেলে প্রথম

ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৪ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী রাফসান জামান।

ছেলের এমন কৃতিত্বে আনন্দিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বাবা একেএম শামসুজ্জামান। রাফসানের বাবা নিজেও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে চাকরি করছেন।

রাফসানরা এক ভাই এক বোন। বড় বোন সাদিয়া ইবনাত চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন।

শামসুজ্জামান বলেন, আমাদের ছেলে মেধাবী সেটি আমরা নিশ্চিত। কিন্তু এতো ভালো ফলাফল করবে সেটা আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ছেলে মেডিকেলে প্রথম হয়েছে শুনে আমি অবাক হয়েছি। পড়ালেখার প্রতি তার যে মনোযোগ সেটিই তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।

ফল প্রকাশের পর গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফসান জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের প্রতি কোনোভাবেই আসক্ত ছিলেন না তিনি। পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কোচিং সেন্টারের কিছু তথ্য আদান প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান জেনারেশন মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়েছে। যার কারণে পড়াশোনার চেয়ে অন্য বিষয়ে মনোযোগী হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।

নিজের সফলতা সম্পর্কে রাফসান বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কনফিডেন্স ছিল কিন্তু প্রথম হবো এটা ভাবিনি। প্রথম যখন রেজাল্ট শুনেছিলাম তখন বিশ্বাস হয়নি। দুপুরের পর কোচিং থেকে ফোন করে রেজাল্ট জানানো হয়। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে নিজের চোখে রোল নম্বর দেখে বিশ্বাস করি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন