রোববার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের তিনটি দোকানে য়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্লাবের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। এ পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ উদঘাটন করা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সভা ডেকেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক আলি কাউসার বলেন, কাল রাত ১১টার পর হঠাৎ আগুন লেগে যায়। তখন দোকানে কেউ ছিল না। আমাদের দোকান থেকেই সম্ভবত আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দোকান থেকে কোনো কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। পাঁচটা ফ্রিজসহ সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি। না হয় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।
হেলথ মার্ট স্টোরের কর্মচারী নাইম হাওলাদার বলেন, আগুনে আমাদের ৪০ শতাংশ ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। পরে পানিতে আরও ৩০ শতাংশ ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া এসি ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমাদের।
ক্লাব সেলুনের এক কর্মচারী বলেন, আমাদের প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্ভবত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা আজ মিটিং ডেকেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।