ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে। বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করবেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এ সব তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটেও এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফলাফল যেভাবে দেখা যাবেঃ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার পরপরই ভর্তিচ্ছুরা ফল জানতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে ফল জানা যাবে। এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য DU ALS <roll no>, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য DU SCI <roll no>, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য DU BUS <roll no> এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা হয়। ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষার (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন ৫ হাজার ৯৬৫টি। ৪টি ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ২ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। সে হিসাবে আসনপ্রতি প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৭। গত ১৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আবেদন চলে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদন ফি ছিল ১ হাজার ৫০ টাকা।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫ জন (আসনপ্রতি প্রতিযোগী ৩৮ জন)। বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮০ জন (আসনপ্রতি ৬৬ জন)। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে ৩৭ হাজার ৬৬০ জন (প্রতি আসনে ৩৬ জন) আর চারুকলা ইউনিটে ১৩০ আসনের বিপরীতে ৭ হাজার ৩৭ জন আবেদন করেছিলেন (আসনপ্রতি ৫৪ জন)।
ভর্তি পরীক্ষায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য ইউনিটগুলোয় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় ছিল। অন্য ইউনিটগুলোয় বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ ছিল। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে মূল পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে থাকবে ২০ নম্বর।