বাকৃবি প্রতিনিধি: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) “বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৪” পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দিবসটি উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দে জানিয়েছেন, এবছর দিবসটি উপলক্ষে স্কুল, মাদরাসা ও সাধারণ মানুষের মাঝে ৩ হাজার ডিম বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সার্বজনীন ডিম খাওয়ানো কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এরপর সকাল ১০টায় পশুপালন অনুষদের গেইটের সামনে কেক কাটা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিম খাওয়ানো কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচি শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বাংলাদেশ এনিমেল হাসব্যান্ড্রি সোসাইটির (বিএএইচএস) সভাপতি মো. মাহবুব হাসান, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী এবং প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ইউজিসি অধ্যাপক ড. এস. ডি. চৌধুরীসহ ওই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাকৃবি উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে উদ্ভাবিত অধিক উৎপাদনশীল লেয়ার মুরগির প্রজাতি দেশের ডিম উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদিত হচ্ছে, যা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উচ্চতর গবেষণা চালানোর আহ্বান জানান তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।”
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে টিএসসিতে স্বল্প মূল্যে একটি ডিম, ২টি শশা অথবা মিষ্টি আলুর সমন্বয়ে একটি পুষ্টি প্যাকেজ চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টাকে আহবান জানান।