The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

টাকার অভাবে হচ্ছেনা ইবির হল সংস্কার, খসে পড়ছে পলেস্তারা

ইবি প্রতিনিধি: যখন তখন খসে পড়তে পারে ছাদের পলেস্তারা। এমন ঝুঁকি নিয়েই কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের তাদের রুমে বসবাস করতে দেখা যাচ্ছে। বছর দুই আগে হলের সংস্কার কাজ করা হলেও ফের খসে পড়তে শুরু করেছে পলেস্তারা। তাই সংস্কার কাজের নিম্নমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হলে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রায়ই খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বিশেষ করে সাদ্দাম হোসেন হলের দক্ষিণ ব্লকের চতুর্থ তলার ছাদের বিভিন্ন অংশ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। তাছাড়া হলটি কিছু দিন আগে রং করা হলেও হলের ছাদ এবং প্রবেশ পথের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারার আস্তরণ। একই সাথে হলের ইন্টারনেট, অপরিচ্ছন্ন বেসিন, গোসলখানা, টয়লেট নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী প্রতাপ পাল বলেন, কাজগুলো খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। যার ফলে আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। সেদিন আমি ওয়াশরুমে গিয়েছি বেসিনের সামনে দাঁড়াতেই উপর থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের এই দিকে খুব শীঘ্রই নজর দেওয়া প্রয়োজন। নয়তো যে কোন সময় যেকোনো দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রায়শ ছাদ থেকে যেভাবে পলেস্তারা খসে পড়ে তাতে আতঙ্কে দিনযাপন করছে হলের আবাসিক ছাত্ররা। এর আগেও হলের ডাইনিংয়ের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছিল। এগুলো নিম্ন মানের কাজের ফল। যার কারণে কিছু দিন পর পর এমন হচ্ছে। হলটি যেহেতু অনেক পুরনো এখনই পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ হতেই পারে।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি হলের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংস্করের জন্য একটি টাকাও বারাদ্দ পাইনি। আমরা যা কাজ করেছি আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যতোটা সম্ভব সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সমস্যাগুলো সমাধান করার। বর্তমানে যে কাজগুলো হচ্ছে তার কোথায় নষ্ট হলে আমি সেটার জবাবদিহিতা চাই এবং তার সমাধান করি। তবে ইতোপূর্বে যেগুলো হয়েছে সেগুলোর সাথে আমি সংশ্লিষ্ট না হলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মো: তারেক বলেন, এগুলো নতুন করে রিপেয়ার করতে হবে। তাছাড়া সব জায়গায় কাজ করা হয় নাই। সম্পূর্ণ পলেস্তারা ফেলে দিয়ে কাজ করতে পারলে সেক্ষেত্রে যদি এটার সমাধান হয়। তার জন্য অবশ্যই বাজেট দরকার।

তিনি আরও বলেন, বাজেটের জন্য আমরা কাজ করতে পারি না। রিপেয়ারিং এর যে বাজেট আসে সেটাতে রঙের টাকাই হয় না। ধরলাম আমি সম্পূর্ণটা রং করবো, দেখা যাচ্ছে রঙের টাকা দিয়ে সংস্কার কাজ করতে হচ্ছে। সেই কাজ শেষ হতে হতে আবার অন্য জায়গায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাজেটের জন্য আমরা সম্পূর্ণ কাজ করতে পারি না।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.