‘জিদান যেখানে খুশি যেতে পারেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি তার ফোন ধরতামও না’-ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নুয়েল লে গ্রায়েতের এমন মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে সে দেশের ফুটবলে।
দিদিয়ের দেশমের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি না হলে জিদান ফ্রান্সের নতুন কোচ হতে পারেন, এমন গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে। সেটা হতেই পারে। তবে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান লে গ্রায়েতের অযাচিত মন্তব্যেই মূলত তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
সবাই অবগত আছেন জিদানের নৈপুণ্য সম্পর্কে। জিদানকে মনে করা হয় ফরাসি ফুটবলের কিংবদন্তি। একক নৈপুণ্যে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতান জিদান, ২০০০ সালে ঘরে তোলেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ।
অথচ কোচ ইস্যুতে কিংবদন্তি জিদানকে নিয়ে ন্যাক্কারজনক এক মন্তব্য করেন ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন প্রধান। ‘আরএমসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জানি জিদানকে (কোচ বানানোর ব্যাপার) নিয়ে কথা বলছি। তার অনেক সমর্থক আছে, কেউ কেউ দেশমের বিদায় চাইছিলেন। কিন্তু কে পারবে দেশমকে তীব্র তিরস্কার করতে? কেউই না।’
ফেডারেশন সভাপতি আরে যোগ করেন, ‘জিদান ব্রাজিলের কোচ হবেন? তিনি যা খুশি, করতে পারেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি কখনও তার সঙ্গে দেখা করিনি। আমরা কখনও দেশমের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কথা চিন্তা করিনি। তিনি যেখানে চান, যে ক্লাবে ইচ্ছে যেতে পারেন। জিদান কি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন? অবশ্যই না। উনি ফোন করলে আমি ধরতামও না।’
জিদানের মতো কিংবদন্তির জন্য এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে অসম্মানজনক। বর্তমান সময়ে ফ্রান্স জাতীয় দলের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপে মুখ খুলেছেন এমন ন্যাক্কারজনক মন্তব্যের জেরে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লে গ্রায়েতের নিন্দা করে এমবাপে লিখেছেন, ‘জিদান মানেই ফ্রান্স। তার মতো একজন কিংবদন্তিকে কিছুতেই এভাবে অসম্মান করা যায় না।’
ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী আমেলি ওদিয়া কাস্তেরা আরও একধাপ এগিয়ে জিদানের কাছে গ্রায়েতকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। এমনকি ফেডারেশনের সভাপতি পদ উল্লেখ করার সময়েই ইনভার্টেড কমা ব্যবহার করেন। যাতে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। তার টুইট বয়ান, ‘খেলার একজন কিংবদন্তিকে চূড়ান্ত লজ্জাজনক অপমান। যাতে আমরা সকলেই আহত। ফ্রান্সের একজন ক্রীড়া সংস্থার ‘প্রেসিডেন্টের’ এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। অনুগ্রহ করে জিদানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন।’
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং ক্যাম্পসে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ক্যাম্পাস, ক্যারিয়ার, ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, অর্থ ও বাণিজ্য। আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newseditor.trc@gmail.com ঠিকানায়।