ডেস্ক রিপোর্ট: চাঁদাবাজি ও মারপিট, মানহানি এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) যশোর সদর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান তিনি।
যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আলাদা দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে অন্য আরেকটি মামলায় আটক দেখিয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সদর কোর্ট জিআরও খায়রুল ইসলাম।
আদালত সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম মিলন ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগারে একটি মামলায় আটক ছিলেন। যশোরের এই দুই মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে যশোর আদালতে আনা হয়। শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তার জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে সাবেক নারী ও শিশু পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল মামলা করেন। পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল আদালতে করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় ভবনের সামনের ফুটপাত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ স্থানীয় পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি যান মিমাংসার জন্য। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ওই ফাঁড়িতে যান।
মিলন হঠাৎ মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ‘ধান্দাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুকুলকে হত্যারও হুমকি দেন মিলন। এ ঘটনায় গতবছরের ১১ জুন আদালতে মামলা করেন। যা আাদলতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
অন্যদিকে, গত বছরের ২৭ জুন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া এবং তার বাড়িতে নগদ ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও ধান, গম লুটপাটসহ জায়গা দখলের চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এ ঘটনার দুই মাস পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।
তবে, এই দুই মামলায় পলাতক ছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন। সরকার পরিবর্তনের পর যশোর ত্যাগ করেন মিলন। গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে আটক হন তিনি। যশোরের ওই দুই মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জামিন দিলেও তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।