ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মো. শোহান শাহ (২৭) এই যুবক সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইস) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি রাজধানীর রামপুরা এলাকায় একটি গার্মেন্টসের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাছাড়া তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন বলেও জানা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃতের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন, শোহান রামপুরায় একটি গার্মেন্টসের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিল। সে বিএনপির কর্মী ছিল।
গত ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পিঠের বাম পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন শোহান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখান থেকে গত শুক্রবার তাকে সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুর পর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান।
তিনি বলেন, গত ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরা সিএনজি পাম্প এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অজ্ঞাতনামা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আগ্নেয় অস্ত্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ওই যুবক। সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
এসআই শাহজাহান আরও জানান, নিহত যুবক মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চন্ডিখালি গ্রামের কৃষক শাহ সেকেন্দারে ছেলে। রামপুরার ডিআইটি রোড হাজীপাড়ায় স্ত্রীসহ থাকতেন তিনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।