The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪

জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকদের অবস্থান

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ১০ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন ও একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান।’

বৈষম্য তুলে ধরে শিক্ষকরা বলেন, ‘গাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে পেনশনের সুবিধা না পাওয়া, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখা হলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনো দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে সেই টাকা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।’ অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু জরুরি বলে মনে করেন তারা।

এছাড়াও অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এত বৈষম্য রয়েছে কি না তা তাদের জানা নেই। এসময় বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আয় থেকে কোনো ধরনের ভর্তুকি ছাড়াই প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব।’

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্সসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকদের অবস্থান

জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকদের অবস্থান

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ১০ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন ও একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান।’

বৈষম্য তুলে ধরে শিক্ষকরা বলেন, ‘গাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে পেনশনের সুবিধা না পাওয়া, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখা হলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনো দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে সেই টাকা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।’ অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু জরুরি বলে মনে করেন তারা।

এছাড়াও অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এত বৈষম্য রয়েছে কি না তা তাদের জানা নেই। এসময় বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আয় থেকে কোনো ধরনের ভর্তুকি ছাড়াই প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব।’

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্সসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন