আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে চলমান এসএসসি পরীক্ষা পেছানো বা স্থগিতের এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরিস্থিতি সম্পর্কে খোজ খবর রাখছে বলে জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাত কেমন হতে পারে বা সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার।
তপন কুমার সরকার বলেন, অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা জানতে চাইছেন ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চলমান এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হবে কি না। আসলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পসিস্থিতি বিবেচনায় চলমান পরীক্ষা কী কী শুধু উপকূলীয় অঞ্চলে স্থগিত হবে, নাকি সারাদেশে স্থগিত হবে এমন প্রশ্নে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এটাও পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বোর্ড সূত্র বলছে, এর আগে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ধরনের দুর্যোগের সময় কেন্দ্রীয়ভাবে সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে নতুন সময়সূচিতে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিধ্বংসী কিছু ঘূর্ণিঝড়: ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমাদের করণীয়
সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।