সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া এবং দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমের হার ১৫ শতাংশের ঘরে পৌঁছে গেছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়া সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। অনেকেরই বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, যেখানে বেঁচে থাকতে প্রতিদিন লড়াই করতে হচ্ছে সেখানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করার মতো অবকাশ তাদের নেই। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটি কেউ জানে না। বন্যার পানি নেমে গেলেও সবকিছু স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে। এই অবস্থায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অন্তত এক মাস পেছানো দরকার।
শিক্ষার্থীদের এই দাবির বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সাথে।
তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে এখনো কোনো চিন্তাভাবনা করা হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে গুচ্ছভুক্ত বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে কথা বলেছে। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পেছানো দরকার। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে শাবিপ্রবি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর।
এই উপাচার্যরা মনে করেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হওয়াই ভালো ছিল। কেননা আমরা অনেকেই ধারণা করেছিলাম জুলাইয়ের শেষ দিকে এবং আগস্টের মাঝামাঝি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাপের কারণে ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
তারা আরও জানান, আমরা আশা করছি যারা গুচ্ছের দায়িত্ব পালন করছেন তারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা চাই না আমাদের সিদ্ধান্তের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। করোনা এবং বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষা পেছাবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।