২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় এবার প্রাথমিক সিলেকশন থাকছে না। যোগ্যতা সম্পন্ন সকলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। গত সোমবার ২১টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভায় প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক সিলেকশন নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার বিষয়টি আলোচনা হয়। সমালোচনা থেকে বেরিয়ে আসতে এবার প্রাথমিক সিলেকশন না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভর্তি আবেদনের সময় শিক্ষার্থীরা যেকোন একটি কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন। পরবর্তীতে ওই কেন্দ্রেই তার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের জন্য চাওয়া যোগ্যতা পূরণ করা সকলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্য ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন বলেন, এবার প্রাথমিক সিলেকশন থাকছে না। ভর্তি আবেদনের নির্দিষ্ট ‘ক্রায়টেরিয়া’ পূরণ করা সকলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে এবার অনেকগুলো পদক্ষেপ গহাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা যে কেন্দ্র পছন্দ দেবে সেই কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া, একবারই ভর্তি হওয়া, ভর্তি হওয়ার পর মাইগ্রেশন সম্পন্ন হলে ভর্তির টাকা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী রবিবারের সভায় বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আইসিটি থাকছে না
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে আইসিটি বিষয় বাদ দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। সিলেবাস প্রণয়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পদার্থ এবং রসায়ন বিষয়ের বাধ্যতামূলক উত্তর দিতে হবে। গণিত এবং জীববিজ্ঞানের যেকোন একটি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। তবে কেউ চাইলে গণিত এবং জীববিজ্ঞান দুটো বিষয়েরই উত্তর করতে পারবে। জীববিজ্ঞান ও গণিতের মধ্যে যেকোন একটি বিষয়ের উত্তর করলে তাকে বাংলা অথবা ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ক্ষেত্রে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। আর মানবিকের পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন যেভাবে
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞানে ২৫, রসায়নে ২৫। এই দুটি বিষয়ের উত্তর বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। গণিত/জীববিজ্ঞানে ২৫ এবং বাংলা/ইংরেজিতে ২৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। গণিত ও জীববিজ্ঞানের মধ্যে যেকোন একটি বিষয়ের উত্তর করতে হবে। তবে কেউ চাইলে গণিত এবং জীববিজ্ঞান দুটো বিষয়েরই উত্তর করতে পারবে। জীববিজ্ঞান ও গণিতের মধ্যে যেকোন একটি বিষয়ের উত্তর করলে তাকে বাংলা অথবা ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করতে হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ক্ষেত্রে হিসাব বিজ্ঞানে ৩৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায় ৩৫ বাংলায় ১৫ এবং ইংরেজিতে ১৫ নম্বর। আর মানবিকের ক্ষেত্রে বাংলায় ৩৫, ইংরেজিতে ৩৫ এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর ৩০ নম্বরের উত্তর করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার মাধ্যমে এবার গুচ্ছ পরীক্ষা শুরু হবে। ১৩ আগস্ট মানবিক বিভাগ ও ২০ আগস্ট বানিজ্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরিবর্তন এসেছে নম্বর বণ্টনেও। পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হলে ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৩০ পেতে হবে। এবার পরীক্ষায় চারটি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর করে কাটা হবে।