কুবি প্রতিনিধি : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দ্রুতগতির ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ও ‘কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি’ নামে অফিসিয়াল মোবাইল এপ্লিকেশন সফটওয়্যারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল কক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এর উদ্বোধন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষা, গবেষণা ও ব্যবহারিক কাজে প্রযুক্তি নির্ভরতা বৃদ্ধি ও প্রসারের লক্ষে প্রকৌশল অনুষদের আওতাভূক্ত বিভাগে ০৮টি, বিজনেস অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদে ও গণিত বিভাগে ১টি করে সর্বমোট ১২টি কম্পিউটার ল্যাবে উন্নত প্রযুক্তির সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে ল্যান স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা, সেমিনার ওয়ার্কসপ, প্রজেক্ট, প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কাজের আওতায় প্রকৌশল অনুষদ ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ভবন (৪র্থ ও ৫ম তলা), সকল ডরমিটরি, অতিথি ভবন, পরিবহন পুল ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিরিয়ার প্রতিটি কক্ষে ল্যান সংযোগ স্থাপন ও ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। পাশাপাশি বিজ্ঞান অনুষদ (১ম, ২য় ও ৩য় তলা), প্রশাসনিক ভবন ও ভিসি বাংলোর প্রয়োজনীয় স্থানে সংযোগ স্থাপন ও ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। সম্প্রসারণ কাজের বিভিন্ন স্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে সর্বমোট ১৪৬৫টি ল্যান সংযোগ ও বিভিন্ন স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উন্নত প্রযুক্তির ৯২টি ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, মানসম্পন্ন একাডেমিক পরিবেশের অগ্রগতির দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আজ তার সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক সুবিধা এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন উদযাপন করেছে। সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নেওয়ার্ক সুবিধাগুলো ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সংযোগে বিপ্লব ঘটাবে। পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কর্মীদের উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবে।
এছাড়াও, অনলাইন একাডেমিক রিসোর্সগুলিতে নিরবিচ্ছিন্ন অ্যাক্সেস থাকবে এবং উন্নত গবেষণা ক্ষমতা ও একাডেমিক প্রকল্পগুলিতে উন্নত সহযোগিতা প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির চাবিকাঠি। শেখার এবং উদ্ভাবনের জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ প্রদানের জন্য আমাদের উৎসর্গের উপর জোর দিতে হবে।