The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

কুবিতে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট অনুষ্ঠিত

হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি:কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপাল ও ভারতের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সামিট-২০২২’ আয়োজন করেছে কুমিল্লা ইউনিভির্সিটি ট্র্যাভেলার্স সোসাইটি ও পদ্মা কন্যা মাল্টিপল ক্যাম্পাস।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবরে) বিকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় “Empowering youth Thought on good health and well bring”।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়ার সঞ্চালনায় ইয়ুথ সামিটের প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম. আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পদ্মা কন্যা মাল্টিপল ক্যাম্পাসের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) রাজু মাল্লা, এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সামিটের কো-অর্ডিনেটর অভিনব কুমার চৌধুরী এবং কুবি ট্র্যাভেলার্স সোসাইটির আহবায়ক মো. নাজমুল হোসাইন সবুজ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অভিনব কুমার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানে এই ধরণের প্রোগ্রাম শেষ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পোগ্রাম অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। গত বছর এ ক্যাম্পাসের দুইজন আমাদের সাথে নেপালের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলো। এইরকম আয়োজনে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে সহজ করে দেয় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন অভিনব কুমার চৌধুরী।

রাজু মাল্লা বলেন, নেপাল আয়তনের দিক থেকে অনেক ছোট কিন্তু সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ। নেপালিদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও পোশাক পরিচ্ছেদ আছে, যা আপনাদের খুবই মুগ্ধ করবে। এছাড়াও অনেকের সাথে আপনাদের সম্পর্ক তৈরি ও ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক তৈরিতে সহযোগিতা করবে এমন সামিট।

কুবি উপ-উপাচার্য ড. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি দুইবার ইয়ুথ সামিটে নেপালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চ্যালেঞ্জ করতে আমাদের এই ধরণের আয়োজন খুব কাজে দিতে পারে। যদিও এটি ট্র্যাভেলার্স সোসাইটির আয়োজন। আমি মনে করি এই ধরণের কমিউনিকেশন তোমাদের জন্য অনেক উপকারী। যা বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন বলেন, আশাকরি এই ধরণের আয়োজন করে আমাদের মধ্যে দেশীয়ভাবে যেমন সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে, ঠিক তেমনি ভাবে একাডেমিক ভাবেও আমাদের সেই সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, শিক্ষা ও শিক্ষাদানের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরাও এই ধরণের আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুমাত্রিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।

সামিটে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা হাবিবুর রহমান, ট্র্যাভেলার্স সোসাইটির উপদেষ্টা ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক ফয়জুল ইসলাম ফিরোজ, ট্রাভেলার্স সোসাইটির সদস্যবৃন্দ ও নেপাল, ভারত, বাংলাদেশের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ও নেপালের দেশীয় সংস্কৃতি নাচে-গানে তুলে ধরেন। এসময় নেপালীরা দেশীয় পোশাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.