The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কাশেম হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে কফিন মিছিল, আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি

রাবি প্রতিনিধি: গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ কাশেম খানের হত্যার প্রতিবাদে গায়েবানা জানাযা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এশার নামাজ পর এ গায়েবা জানাযায় হয়।

পরে প্রতিকী কফিন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে জোহা চত্বরে ঘুরে আবার মসজিদে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

জানাযা নামাজে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, “৫ আগষ্ট আমাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন, আবার এ বিপ্লবের পরও অনেকেে শহীদ হচ্ছে। স্বৈরাচারের নেতারা চলে গেছে কিন্তুু তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। আমরা যদি বুনিয়ামুম মারসুস অথাৎ সিসা ঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য হতে না পারি তাহলে ফ্যাসিস্টের দোসেররা আরো সমাজে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আমি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এবং আপামর জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।”

এ সময় তারা, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?”, “স্বৈরাচারের দোসররা, হুশিয়ার সাবধান”, “আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না”, “আওয়ামী লীগের দালালেরা হুশিয়ার, সাবধান”, “আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না”, “স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, “গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসী শহীদ কাশেমকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমাদের অনৈক্যের কারণে স্বৈরাচারের দোসররা এ সুযোগ নিচ্ছে। আমরা যদি একসাথে প্রতিহত করতে না পারি তাহলে আগামীতে এই কাশেমের জায়গায় আপনি, আমিও থাকতে পারি।”

অন্তর্তবর্তীকালীন সরকারকে হুশিয়ার করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ কখনও নেতৃত্বশূন্য থাকেনি। আপনারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন এবং তাদের দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করুন। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হন তাহলে গদি ছেড়ে দিন।”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.