করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনা বা বিশেষ বৃত্তি দেওয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। এর মধ্যে শিক্ষা প্রশাসন, বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও রয়েছে। তাঁরা বলছেন, সরকারের সদিচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য এটি করতে হবে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বাজেটের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম। তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে বড় ভূমিকা রাখার পরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, নানা সমস্যায় জর্জরিত। এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হলেও অসংখ্য এমপিওভুক্ত শিক্ষক শূন্য পদে আবেদন করে তাঁদের ইচ্ছামতো পছন্দের প্রতিষ্ঠানে চলে যান। এতে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ তৈরি হচ্ছে।
মো. শাহজাহান আলম বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের শূন্য পদের বদলির কার্যক্রম চালু করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা, বোর্ড কর্তৃক এফিলিয়েশনভুক্ত সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা, আসন্ন ঈদের আগে উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সমপরিমাণ করা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনা বা বিশেষ বৃত্তি দেওয়া, শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা কার্যকর করা, শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করা।
এই আট দফা দাবি আদায়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সারা দেশে মানববন্ধন করবে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।