এমপিওভুক্ত হতে না পারা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আপিল নিষ্পত্তির কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে যে সকল প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে তার একটি খসড়া তালিকা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী অনুমোদন দিলে তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, সারাদেশ থেকে ১ হাজার ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আপিল আবেদন করে। শুনানিতে ১ হাজার ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং ১৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপিল শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে।
এমপিওভুক্ত হতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলোর আপিল শুনানি গত ২ থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতা সঠিক ছিল সেগুলো এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৫ দিনের মধ্যে শুনানির ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশের বাইরে থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, আপিল নিষ্পত্তির ফলাফল প্রস্তুত। এটি শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় অনুমতি দিলে তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর আলোকে সারা দেশের বিভিন্ন স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্তির জন্য গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এতে অনলাইনে ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অনলাইনে ৪ হাজার ৭২৯টি আবেদন জমা পড়ে।
যাচাই বাছাই শেষে এমপিও পাওয়ার যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১০৯টি এবং ডিগ্রি কলেজ ১৮টিসহ সর্বমোট ২ হাজার ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য চলতি বছরের ৬ আগস্ট আদেশ জারি করা হয়। অবশিষ্ট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়নি।
যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয়নি, সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নীতিমালার ১৬.৪ ধারা অনুযায়ী আপিল আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আপিল আবেদন গ্রহণের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল গত ২১ জুলাই পর্যন্ত।