The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ২রা জুলাই, ২০২৪

উলুফুলের শুভ্রতায় ছেয়ে গেছে ববি ক্যাম্পাস

মেহরাব হোসেন, ববিঃ কখনো গ্রীষ্মের দুপুরের কাঠফাটা রোদ কখনোবা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এর মাঝে দক্ষিণের বাতাসে উলু ফুলের শুভ্রতা ছড়াচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

তীব্র রোদ্র কিংবা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এরই মধ্যে একটু শীতলছায়ায় পরশ পেতে উদগ্রীব হাজারো মানুষ। গ্রাম ও শহরের মিশ্র পরিবেশে তৈরি সবুজে ঘেরা ৫৫ একরের ক্যাম্পাস কাঁপছে শুভ্র উজ্জ্বলতায়। যেন মনে হচ্ছে কঠোর তাপদাহে ঝলসে গেছে ববির বুক।

ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দিকে তাকালে চোখে পড়ে, দখিনা হাওয়ায় ঢেউ খেলে উলু ফুলগুলো প্রকৃতির অপরূপ লীলাখেলায় মেতে ওঠেছে। সেই সঙ্গে সাদা ফুলেরা দোল খায় বাতাসে। ক্যাম্পাসকে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে রেখেছে উলু ফুল।

বছরের ছয়টি ঋতুতেই ফুলে ফুলে সুশোভিত থাকে দক্ষিণের এ বিদ্যাপীঠ। প্রকৃতির পালাবদলে রঙ-বেরঙের এসব ফুল দ্যুতি ছড়ায় প্রতিটি দিনই। হৃদয়কাড়া এ সৌন্দর্যের মুগ্ধতায় আর স্নিগ্ধতায় ভরে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, খেলার মাঠ, বিভিন্ন চত্বর।

এমনই মুগ্ধতা ভরা শোভিত ক্যাম্পাস নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অমিও মন্ডল লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মানে মনের ভিতর একটা অন্যরকম আবেগের স্থান। সেই ক্যাম্পাস থাকে যদি সবুজে বিলীন এবং বিভিন্ন ফুলের সমারোহে হারানো, তাহলে মনে এমনিতেই বিচলিত ভাব চলে আসে।ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ফুলের রূপের মায়ায় পড়লেও, উলুফুল আমাদের মনে শুভ্র ভাব জাগ্রত করে দিয়ে যায় যেন সব কিছু পবিত্র হয়ে যায় হৃদয়জুড়ে।

কবিতার ভাষায় তিনি আরো লিখেছেন,

উলুফুলে মন, হারায় নীরে।

গভীর ভাবে, ধীরে ধীরে

সাবধানতায় মনের মাঝে,

নীরবে তাহার বাশির বাজে।

আকুল হয়ে আমি তাহার,

সম্মুখ চেয়ে নতুন প্রাণে,

বাজাই মনে সুখের বাশি।

তার সৌন্দর্যই ভালোবাসি।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উপমা দত্ত লিখেছেন, জৈষ্ঠের ঝড়-বাদলের দিন গুলোয় বৃষ্টিস্নাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পেয়েছে সজীবতার ছোয়া। চারিদিকে যেন সবুজের সমারহ। মাঠের সবুজ ঘাসে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন উলুবন। সবুজ প্রকৃতিতে ভিন্ন রুপ ছড়াচ্ছে এই সাদা ফুলের দল।

উল্লেখ, উলুফুল মূলত ঘাস শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।

এরা ঘাসের ফুল দেখতে কাশফুলের মতো, তবে আকারে অনেক ছোট। এর ঘাসগুলো ২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতাগুলো গাছের গোড়ার কাছে প্রায় ২ সেন্টিমিটার চওড়া এবং শীর্ষে একটি তীক্ষ্ণ বিন্দু পর্যন্ত সরু হয়; মার্জিনগুলো সূক্ষ্মভাবে দাঁতযুক্ত এবং ধারালো সিলিকা স্ফূটিক দ্বারা এম্বেড করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.