কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সম্প্রতি সময়ে উপচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রক্টরের অবৈধ অনলাইন পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন, শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও কতিপয় শিক্ষককে পদোন্নতি ও একটি অংশকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত, পদোন্নতি নীতিমালায় না থাকলেও শিক্ষকদের পদোন্নতির সময় অবৈধ শর্ত প্রদান এবং বিভিন্ন বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রদানের দায়িত্ব হস্তান্তর না করা। এছাড়াও উপাচার্যের পছন্দের লোকদের আইন লঙ্ঘন করে দায়িত্ব দেওয়া, উপাচার্য কর্তৃক সাবেক শিক্ষার্থী দিয়ে ক্যাডার বাহিনী তৈরি করা এবং এই ক্যাডারদের দ্বারা শিক্ষকদের পেটানো এবং গালিগালাজ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অর্থ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
কয়েক দফা আন্দোলন করেও দাবি আদায় না হওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। পরে উপাচার্যসহ, ট্রেজারার এবং প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। তবে চলমান আন্দোলনে প্রায়শই শিক্ষকদের সাথে মারামারি ও গালাগালি করতে দেখা যাচ্ছে সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করেছেন এবং কয়েকজন শাখা ছাত্রলীগের পদ ভাগিয়ে আনার জন্য এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কয়েকজন হলেন হত্যা ও শিক্ষার্থীদের মারধরের মামলার আসামি, কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণ, এলাকায় লুট পাটের অভিযোগ, সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ এবং শিক্ষকদের হামলা, হুমকি ও গালাগালির অভিযোগ। তবে গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্যের নেতৃত্বেই শিক্ষকদের উপর হামলা করেন এই সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের কেউ বর্তমান শিক্ষার্থী নন। কারণ বর্তমান সর্বশেষ স্নাতকোত্তর চলমান সেশন হলো ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩তম ব্যাচ।
প্রতিবেদকের হাতে থাকা ভিডিওতে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের সামনে ড. মো. শামিমুল ইসলাম কে বিপ্লব দাস ও আমিনুর রহমান বিশ্বাস ধাক্কা দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর আমিনুর বিশ্বাস ও রকিবুল হাসান রকি গিয়ে শিক্ষক লাউঞ্জ বন্ধ করে দেন। এসময় সাবেক শিক্ষার্থী পার্থ সরকার, বিপ্লব দাসসহ অনেকে শিক্ষকদেরকে কিল-ঘুষি ও লাথি দিতে দেখা যায়। হামলা চলাকালে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আবু তাহের, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আহত হন। পরবর্তী আমিনুর বিশ্বাস পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে ধাক্কা দিলে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারিও উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে শিক্ষকদের উপর হামলা করেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন যোগদানে পরপরই অস্ত্রসহ ক্যাম্পাসে মহড়া দেন তাদের কয়েকজন। উপাচার্য ও প্রক্টরের ইন্ধনে ঐ অস্ত্র মহড়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি, মারধর করে আসছেন তারা। পরে শিক্ষকদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা শুরু করেন তারা। তবে সময়ে এসব অঘটন ঘটলেও কোনো বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। উলটো উপাচার্য তাদের সাথে বিভিন্ন উৎসব পালন ও মিটিং করে দিক নির্দেশনা দিতে দেখা যায় উপাচার্যকে। অভিযোগ রয়েছে, প্রত্যেকটি ঘটনার আগে উপাচার্যের বাংলোতে বসে মিটিং করেন তারা। এবার প্রশ্ন উঠেছে এরা আসলে কারা?
জানা যায়, তাদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে আবেদন করেছেন। উপাচার্য তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিবেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পাইয়ে দিতে উপাচার্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করেন বলেও জানা গেছে। তারা হলেন, নৃবিজ্ঞান ১০ ব্যাচের আমিনুর রহমান বিশ্বাস, লোকপ্রশাসন ৫ম ব্যাচের অনুপম দাস বাঁধন, রেজা-ই-এলাহি, অর্থনীতি বিভাগের ৮ম ব্যাচের মাসুদ আলম, আরিফুল ইসলাম বাপ্পী, ফয়সাল হোসেন, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ৯ম ব্যাচের ইকবাল হোসাইন খান, মেহেদী হৃদয়, একই বিভাগের ১০ ব্যাচের পার্থ সরকার, মার্কেটিং ৪র্থ ব্যাচের বিপ্লব চন্দ্র দাস, বাংলা ৯ম ব্যাচের ইমরান হোসাইন, প্রত্নতত্ত্ব ১১ ব্যাচের মুশফিকুর রহমান খান তানিম, মার্কেটিং ৯ম ব্যাচের রকিবুল হাসান রকি, লোকপ্রশাসন ১১ ব্যাচের এম নুর উদ্দিন হোসাইন, ও ফার্মেসি ১০ম ব্যাচের ইমাম হোসেন মাসুম প্রমুখ।
তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মার্কেটিং ৪র্থ ব্যাচের বিপ্লব চন্দ্র দাস, যিনি ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ১৬৪ ধারায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। গেল বছরে রেজার নির্দেশে অস্ত্রসহ বাইক শোডাউন তিনি ও ইকবাল খান। পরে এ ঘটনায় আবাসিক হল সিলগালা করে প্রশাসন। এ ঘটনার মাস ছয়েক পরই দুই শিক্ষার্থীকে প্রক্টরের ইঙ্গিতে মারধর করেন বিপ্লব ও ইকবাল। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপন করেন উপাচার্য। এছাড়াও আপত্তির মুখেও সান্ধ্যকালীন কোর্সে বিপ্লবকে ভর্তির নির্দেশ দেন উপাচার্য। বর্তমানে বিপ্লব ও ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির প্রত্যাশা করছেন।
খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার আরেক আসামি হলেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীও। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি বাণিজ্য ও নারী ধর্ষণ মামলাও। এছাড়ায় নিজ এলাকা বরুড়ায় লুটপাট, সাংবাদিক দেখে নেওয়া, মাদকের অর্থ সরবরাহ সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী।
সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুর বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। আবাসিক হলে গন্ডগোল, সাংবাদিক হেনস্তা, শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থী ইমরান হোসেন, অনুপম দাশ বাঁধন, রকিবুল ইসলাম রকি, মেহেদী হাসান, মুশফিকুর রহমান খান, ইমাম হোসেন মাসুমের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।
শিক্ষকদের হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুর বিশ্বাস বলেন, তারাও (শিক্ষকরা) ধাক্কা দিয়েছে আমরাও ধাক্কা দিয়েছি। ধাক্কা যদি লেগে যায় তাহলে তো করার কিছু নাই। আমরা বের হতে চেয়েছিলাম।
এর আগে ৮ মার্চ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের করেন রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত স্থানীয় যুবদল নেতা রনি, হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাস, সাবেক শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন খান, স্বজন বরণ বিশ্বাসসহ ১২ থেকে ১৫ জন । বর্তমানে ইকবাল হোসনে খান চাকরি প্রত্যাশী হিসাবে পরিচিত। তিনি গত ৮ মার্চ শিক্ষার্থীদের মারার অভিযোগের মামলায় ৩ নাম্বার আসামি। এখন তিনি শিক্ষকদের বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি দিয়ে আসতেছেন।
এই অভিযোগে ইকবাল খানের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
ইমাম হোসেন মাসুম গত কয়েকমাস আগেও বর্তমান প্রক্টরের অপসারণের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি উপাচার্যের সাথে দপ্তরে দেখা যায়। মেহেদী হাসান চাকরী প্রত্যাশী ও ছাত্রলীগের পদ ভাগিয়ে আনার জন্য উপাচার্যের ক্ষমতা ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় হামলা করতে দেখা যায়। তিনি উপাচার্যের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এমন অভিযোগে মেহেদী হাসানকে কয়েকবার মুটে ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
আরেকজন ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে চাকরি আশায় রয়েছেন রকিবুল ইসলাম রকি। তিনি ছিলেন সাবেক শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। এখন চাকরির জন্য নিজের রাজনীতি দিকও পরিবর্তন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের গালাগাল ও অসভ্য ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি শিক্ষক লাউঞ্জে তালা দিয়েছেন বলে অভিযোগও রয়েছে।
এই নিয়ে রকিবুল ইসলাম রকি বলেন, আমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মেলামেশা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা দিয়েছে আমরা তাদের চাইনা। তাই আমি শিক্ষক লাউঞ্জে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ব্যাচের ছাতত্র শেষ হওয়ার পরে কেন হলে অবস্থান করছেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক শিক্ষার্থী। সেটা আপনি রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। আর হল প্রশাসন বললে আমি হল প্রশাসনের সাথে কথা বলব।
এছাড়া অনুপম দাশ বাধঁন ও ইমরান হোসেন চাকরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষর্থীদের সাথে বাকবিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। গত ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাংলোতে উপাচার্য সন্ত্রাসীরা, অছাত্রদের সাথে মিটিং করেন। এর সিসিটিভি ফুটেজ তার প্রমাণ আছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
সাবেক শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবির রায়হান বলেন, একটা শিক্ষার্থী যখন সার্টিফিকেট তুলে ফেলে, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কি কাজ থাকতে পারে? যেমন রিসার্চ রিলেটেড অর জব। কিন্তু এখানে কাউর এমন কিছু আছে বলে দৃশ্যমান না। এদের এই ফাঁকা রোলটা কাউর না কাউর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হয়। এরা অনেকটা প্রশাসন ও কিছু ব্যক্তির জন্য গিনিপিগ এর মত কাজ করে, যা তাদের স্বার্থ নামক এক্সপেরিমেন্টে ব্যবহৃত হয়। সালমান ও এনায়েত ভাইদের মারধর দেখে শুরু করে এখন শিক্ষক সমিতি পর্যন্ত সেইম ল্যাব রেট গুলোই প্রশাসন ব্যবহার করছে। এমন কি রোহান ভাই এর হাত ও ভেঙ্গেছিল এরা, আর এদের নামে মামলাও রয়েছে। এমনকি ডকুমেন্ট মিলিয়ে দেখলে সেইম চেহারাগুলো বারবার দেখা যাবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এমনভাবে চলতে থাকলে হয়ত খালিদ সাইফুল্লাহ মতো আরেকজনকে দাফন করা লাগবে। এগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিব্রতকর, আমরা এগুলো সমাধান চাই।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, শিক্ষকরা এবিষয়ে উদ্বিগ্ন। উপাচার্য নিজে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, বহিরাগতরা ট্রেজারার ও উপাচার্যের নির্দেশে তারা শিক্ষকদের উপর হামলা করেন। হামলাকারীদের মধ্যে আছে বিভিন্ন মামলার আসমি, বিভিন্ন অভিযোগ ও শিক্ষকদের সাথে ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ। খালেদ সাইফুল্লাহ খুনের আসামিদের অপসরণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী কাছে জানানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা ও উপচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনকে কয়েকবার মুটেফোনে কল দিলেও পাওয়া যায়নি।