নিজস্ব প্রতিবেদক: বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে শ্বাসরোধের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে আহবায়ক ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্য সদস্য হলেন- সহকারী প্রক্টর ড. আরিফুল ইসলাম। কমিটিকে যথাশীঘ্রসম্ভব তদন্তপূর্বক উপাচার্যের নিকট প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব আলীবদ্দীন খান বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। আগামী সোমবার এ বিষয়ে মিটিং রয়েছে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার জন্য বাসের ছিটে বসা নিয়ে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আবু জাহেদ ও অভিযুক্ত রতন রায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে অভিযুক্ত রতন আচমকা তার গলাটিপে ধরে এবং আরেক অভিযুক্ত রিহাব রিদোয়ান তার চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। এসময় ভুক্তভোগী হাত সরানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু অভিযুক্তরা কিছুতেই ছাড়ছিল না। এসময় ভুক্তভোগীর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। বাসের সবাই চিল্লাপাল্লা শুরু করে তারা ভুক্তভোগীকে ছাড়িয়ে নেয়। আর ৯/১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী আবু জাহেদ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন- উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রতন রায় ও রিহাব রিদোয়ান। তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী বলে জানা গেছে।