গত সোমবার কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক হওয়া ১৮ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় ১৭ জন ও মঙ্গলবার দুপুরে ১জনসহ মোট ১৮জনকে কুষ্টিয়া মডেল থানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বের করে আনেন শিক্ষকরা।
সেই ছয় শিক্ষক হলেন, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আকতার হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল বারী এবং দাওয়াত এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মহাম্মদ মাসউদ আল মাহদী।
জানা গেছে, সোমবার (২৯ জুলাই) কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইবির ১৮ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। কোটা ইস্যুতে কুষ্টিয়া শহরে আন্দোলনে অংশ নিতে আসলে তাদের আটক করেন বলে জানা গেছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
এদিকে আটককৃত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ইবি প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকাকে অভিভাবক সূলভ হয়নি বলে দায়ী করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ইবি প্রক্টরের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর তারা এই শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একেবারে নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের অভিভাবকদের থেকে এমন বিষয় আশা করিনা।
শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এবং ভবিষ্যতেও যেকোন বিপদে পাশে থাকবো। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা কি ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তাদের দায়িত্বের অবহেলা।
ইবি প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের মত বলতে থাকুক। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে তাদেরকে ছাড়ানোর বিষয়ে গোপনে ভূমিকা পালন করেছি।