The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

আটকে আছে ৪১তম বিসিএসের ফলঃ ১৫০০০ খাতায় গড়মিল

৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় ১১ মাস আগে; কিন্তু প্রকাশ করা হয়নি এখনো ফলাফল। জানাগেছে প্রায় ১৫ হাজার খাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরে গরমিলের কথা। নিয়মা মাফিক সেগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এর ফলে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে বলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্রে জানা গেছে। পিএসসি সূত্র বলছে, প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষক খাতা জমা দেওয়ার পর এগুলো যাচাই করে ১৫ হাজারের বেশি খাতায় ২০ বা তারও বেশি নম্বরের গরমিল ধরা পড়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়।

পিএসসির তদন্তে দেখা গেছে, খাতা দেখতে ৩১৮ পরীক্ষক ভুল করেছেন। অনেক পরীক্ষক পরীক্ষার্থীর কোনো কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য নম্বরই দেননি। অনেকে খাতার শেষের উত্তরপত্র এড়িয়ে গেছেন। কোনো কোনো খাতায় পরীক্ষক নম্বরের যোগে ভুল করেছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় পরীক্ষকদের কাছ থেকে খাতা ফেরত আসতে শুরু করেছে। সব পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে।

আরো পড়ুনঃ বাবার সাথে কুলির কাজ করা ছেলেটি আজ ৩৪০ কোটি টাকার…

অনেকেই বলছেন একবছর ধরে লিখিত পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় আছি। প্রতি মাসেই শুনি এ মাসে ফল হবে কিন্তু ফল আর হয় না। এখন হতাশার চরম পর্যায়ে আছি। এ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই আমরা।

৪১তম বিসিএসের দুই প্রার্থী মারফত জানা যায়, পিএসসির নিয়ম অনুসারে ভুল সংশোধন করতে ওই পরীক্ষকদের সরাসরি আসতে হয়। যার ফলে অনেক সময় চলে গেছে। তাঁদের ভুল সংশোধনের পর নম্বর চূড়ান্ত করতে গিয়ে আরো প্রায় ১৫ হাজার খাতায় বড় ধরনের গরমিল পাওয়া যায়। সেটি চূড়ান্ত করতে আবার খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পিএসসির সাবেক সদস্য সমর পাল বলেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রথম পরীক্ষক মূল্যায়নের পর তা ঠিক আছে কি না, তা দ্বিতীয় পরীক্ষক যাচাই করে দেখেন।

তিনি দেখার পর প্রথম পরীক্ষকের নম্বরের সঙ্গে ২০ বা তার বেশি নম্বরের পার্থক্য হলে নিয়ম অনুসারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়। তৃতীয় পরীক্ষক যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটিই চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়।

এবার লিখিত পরীক্ষায় ফল প্রকাশে এত বেশি দেরির বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির এক সদস্য বলেন, একবার সময় গেল ৩১৮ পরীক্ষকের ভুল শোধরাতে। আবার ১৫ হাজার খাতায় ২০ বা তার বেশি নম্বরের গরমিল পাওয়ায় খাতা তৃতীয় পরীক্ষক দেখছেন। এখানেও সময় যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ফল নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠতে পারে, সে জন্য সতর্কভাবে সবকিছু দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ মাইক্রোসফটে চাকরি পেলেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী নাজমুল

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.