শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আগামী বছর ২০২৬ সালের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নতুন নিয়মে হবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত এলে তা প্রকাশ করা হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘যোগাযোগ উৎসব’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষার সঙ্গে শিল্প ও অর্থনীতির সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গীকার থেকে বলছি, উন্নয়ন হয়েছে দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান। এডুকেশনের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোনমির মাধ্যমে আমরা এমপ্লয়মেন্টের দিকে যাব।’ তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরা কীভাবে কর্মজীবনে সফলতা পাবে, কীভাবে তারা নিজেদের ভবিষ্যত গড়বে, কীভাবে তারা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবে, এই বিষয়ে অ্যালামনাইদের একটা গুরুদায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল নেওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে উৎসাহিত করতে হবে, যোগাযোগ সক্ষমতায় উন্নত করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অল্পসংখ্যক সরকারি চাকরির যে হাতছানি, সেটার দিকে শিক্ষার্থীদের তাকিয়ে থাকার যে মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে, এটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রলিং হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরি শুধু সিভিল সার্ভিসের চাকরির প্রস্তুতির জায়গা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যের বাইরেও গবেষণাধর্মী থেকে শুরু করে অনেক কিছুরই জ্ঞান আহরণ ও চর্চার জায়গা। সেই মানসিকতার জায়গা তৈরি হতে হবে।
অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান বলেন, এখন সাংবাদিকতা পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। সাদামাটা সংবাদ নয়, সংবাদকে ফিচারাইজড করতে হবে। সংবাদের পেছনের ঘটনা তুলে ধরতে হবে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গণযোযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, বিভাগকে সামনে রেখে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। এ সংগঠনের শক্তির জায়গা হচ্ছে ডিপার্টমেন্ট। এই সংগঠনের শেকড় হলো ডিপার্টমেন্ট। ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলবেন না।
অনুষ্ঠানে আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ারুল-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) এবং মহাসচিব মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বক্তৃতা করেন।