The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪

৯ দিনে ধরে অনশন করেও প্রেমিককে পেলেন না কলেজছাত্রী

প্রেমিককে নিজের করে নিতে নয় দিন ধরে অনশন করেও সফল হতে পারলেন না প্রেমিকা। নিজের করে নিতে পারিননি প্রেমিককে। প্রেমিক অন্য একজনকে সিঁদুর পরিয়েছেন। ঘটনা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের।

শনিবার ওই কলেজছাত্রীকে তার বড় ভাই প্রেমিক হিমেলের বাড়ি থেকে নিয়ে যান। প্রেমিকের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তরুণীকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।

জানা যায়, হিমেল রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এই কলেজছাত্রীর। ঘটনা ২০১৭ সালের। প্রেমিককে একাধিকবার বিয়ের চাপ দিলে হিমেল তা বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি হিমেলকে তার পরিবার অন্যত্র বিয়ে করাচ্ছে এমন খবর পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে যান এই তরুণী। বিয়ের দাবি জানান। কিন্তু ছেলের পরিবার না মানলে শুরু করেন অনশন।

হিমেল রায় দেবীগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ উমাপতি রায়ের বড় ছেলে। তিনি বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পাশের এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী।

এ ঘটনার মধ্যেই প্রেমিক হিমেলকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন তার পরিবার। বিয়ের কিছু ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান মেয়ের পরিবার। আশ্চর্য হন স্থানীরাও। পরে অনশনের দশ দিনের মাথায় তরুণীর বড় ভাই তার বোনকে সেখান থেকে বাসায় নিয়ে গেছেন।

অনশনকালে ভুক্তভোগী তরুণী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, হিমেলের সঙ্গে আমার ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এ সময়ের মধ্যে অনেক কিছু হয়েছে। হঠাৎ হিমেলের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার কথা শুনে তার বাড়িতে ছুটে আসি। তার পরিবারকে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানালে তারা না মেনে আমাকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে। অথচ চলতি মাসেই দিনাজপুর জজকোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আমরা দুজনই বিয়েতে আবদ্ধ হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা সম্পন্ন করি।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই বলেন, আমার বোন অনেক দিন ধরেই এখানে আছে। প্রায় দশ দিন হলো। ন্যায়বিচারের আশায় এখানে এসেছিল। হিমেলকে ভালোবাসত। কিন্তু হিমেলের বাবা দেবীগঞ্জের প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। ছেলের পরিবার বিষয়টিকে টাকার মাধ্যমে মিটমাট করতে চেয়েছিল। আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমাদের কিছুটা হলেও আত্মসম্মান রয়েছে।

দেবীগঞ্জ পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা মীমাংসা করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর ছেলের বাবাও মেনে নিচ্ছিলেন না। তাই গতকাল মেয়ের পরিবার তাকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ছেলের বাবা উমাপতি রায় বলেন, মেয়েটি আমার ছাত্রী। মূলত আমার ছেলেকে ২০২১ সালে বিয়ে করিয়েছি। সেখানে এ মেয়েটির দাবি কীভাবে মেনে নিতে পারি। তাই সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি অন্য কোনোভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। মেয়ে হিসেবে তার জন্য আমার ঘরের দরজা সবসময় খোলা রয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.