The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

৪৬ বছরের আবদুর রহমানের ঝুলিতে ২৫ মাস্টার্স ডিগ্রি!

আবদুর রহমান বয়স ৪৬ বছর।  কাজের পাশাপাশি এ বয়সেও চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। খন পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫টি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন আবদুর রহমান। চলমান আছে আরও একটা। লিখেছেন বইও।

একের পর এক মাস্টার্স কেন করছেন? জানতে চাইলে আবদুর রহমান বলেন, মানুষ যতদিন বাঁচে ততদিনই শেখে। শেখার কোনো শেষ নেই। মূলত শেখার জন্যই আমি একটার পর একটা মাস্টার্স করছি। আমাদের ধর্মেও জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি যদি জ্ঞান অর্জন করি তাহলে আমার মানসিকতা বড় হবে বলে বিশ্বাস করি। মানুষকে সহযোগিতা করা সহজ হবে তখন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল এ যুগে মানুষ মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার, স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকে। বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। হয়তো আমার দেখে আরও অনেকে উৎসাহিত হবে। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।

আবদুর রহমান বলেন, আসলে আমি যদি না পড়ি, না জানি তাহলে এগিয়ে যেতে পারবো না। কারণ বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। আমি ম্যাথমেটিক্সে মাস্টার্স করেছি অনেক আগে। কিন্তু এখন অনেক বিষয়ই নতুন নতুন আসছে। তো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাকে এ বিষয়গুলোও জানতে হবে। আর এজন্য আমাকে পড়াশোনার সঙ্গে থাকতে হবে।

কতদিন চালিয়ে যাবেন পড়াশোনা? উত্তরে তিনি বলেন, ইচ্ছে তো আছে যতদিন বাঁচি ততদিনই চালিয়ে যাওয়ার।

আবদুর রহমান এখন পর্যন্ত আমি পাঁচটি বই লিখেছি। সেগুলো হলো- ‘শ্রম অর্থনীতি ও ইপিজেড আইন’, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব : প্রস্তুতির এখনই সময়’, ‘শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও পারিবারিক শিক্ষা’, ‘লেবার ইকোনমিক্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অ্যাক্ট’, ‘অ্যা ম্যানুয়াল ইন্ট্রাকচুয়াল প্রপার্টি ল’।

আবদুর রহমানের দাদার বাড়ি মাদারিপুর হলেও তিনি জন্মেছেন চট্টগ্রামে। বাবার নাম আবদুর রব মিঞা। তিনি জেলা রিলিফ অফিসার ছিলেন। আর মায়ের নাম আঞ্জুমান আরা। বাবা রিটায়ার্ড করার পর যশোরে বাড়ি করেছেন। এখন স্থায়ী ঠিকানা সেখানেই।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.