The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪

৩২ দিনের শিশু নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মা

পাবনার সুজানগর উপজেলায় ৩২ দিনের শিশুকে নিয়ে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক মা। গত রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে নবজাতককে নিয়ে উপজেলার নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে হাজির হন তিনি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

পরীক্ষার্থীর নাম রাজিয়া সুলতানা। তিনি সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্রী।

রাজিয়া সুলতানা বলেন, রোববার সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পর খুব ভয় করছিল। কারণ বাচ্চাটিও কাঁদছিল। কীভাবে পরীক্ষা দেব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। এ সময় ইউএনও স্যারসহ সবাই সাহস দিয়েছেন। আমার পাশে দাঁড়িয়ে বাচ্চার ফিডিং এর ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখি, একটি নারী বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চার মা পরীক্ষা দিচ্ছে। এ সময় শিশুটি কাঁদছিল। আমি নারীকে ডেকে নিয়ে কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা হলের পাশের রুমে ব্রেস্ট ফিডিং এর ব্যবস্থা করে দেই। যতবার বাচ্চার প্রয়োজন ততবার তার মা যেন তাকে দুধ পান করাতে পারেন।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোস্তম আলী হেলালি জানান, মানবিক বিবেচনায় এক মায়ের বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ সময় তার কক্ষ পরিদর্শক রাখাসহ অন্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ সমূহ
  3. ৩২ দিনের শিশু নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মা

৩২ দিনের শিশু নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন মা

পাবনার সুজানগর উপজেলায় ৩২ দিনের শিশুকে নিয়ে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক মা। গত রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে নবজাতককে নিয়ে উপজেলার নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে হাজির হন তিনি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

পরীক্ষার্থীর নাম রাজিয়া সুলতানা। তিনি সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্রী।

রাজিয়া সুলতানা বলেন, রোববার সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পর খুব ভয় করছিল। কারণ বাচ্চাটিও কাঁদছিল। কীভাবে পরীক্ষা দেব, ভেবে পাচ্ছিলাম না। এ সময় ইউএনও স্যারসহ সবাই সাহস দিয়েছেন। আমার পাশে দাঁড়িয়ে বাচ্চার ফিডিং এর ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখি, একটি নারী বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চার মা পরীক্ষা দিচ্ছে। এ সময় শিশুটি কাঁদছিল। আমি নারীকে ডেকে নিয়ে কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা হলের পাশের রুমে ব্রেস্ট ফিডিং এর ব্যবস্থা করে দেই। যতবার বাচ্চার প্রয়োজন ততবার তার মা যেন তাকে দুধ পান করাতে পারেন।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোস্তম আলী হেলালি জানান, মানবিক বিবেচনায় এক মায়ের বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ সময় তার কক্ষ পরিদর্শক রাখাসহ অন্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন