The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪

১ লাখের বেশি ল্যাপটপ পাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সুবিধাবঞ্চিত এলাকার ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩টি করে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখের বেশি ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড-সিস্টেম সরবরাহ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ই জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থপানকালে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এদিন বিকাল ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপনকালে মন্ত্রী বলেন, শিশুরাই ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগর। আমাদের মূল্য লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। আর তাই শৈশব থেকেই প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে এ ধারণাকে গেঁথে দিতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিবেচনায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো ও এর মূল্যায়ন পদ্ধতি আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষার প্রাথমিক ধাপেই প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলতে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাদানের ওপর অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আবুল হাসান মাহমুদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখের বেশি ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড-সিস্টেম সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ক্লাসরুম ও ভাষা ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির অভিযোজনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বিজ্ঞান বইয়ের তৃতীয় শ্রেণি থেকে তথ্য প্রযুক্তি ও কোডিং সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গণমুখী শিক্ষার সুফল তুলে ধরে তিনি জানান, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সরকার গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৬০টি জেলার ১১৪টি উপজেলায় ৩৫ হাজার শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৩ জনকে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ঝরে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখা হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.