The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

সাত কলেজের ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ফাঁকা আসন পূরণ ও অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা দ্রুত প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভর্তিচ্ছুরা। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে মারিয়া আক্তার রজনী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ আমরা নিরুপায় হয়ে এখানে একত্রিত হয়েছি। অনেক শিক্ষার্থী আশায় ছিল যে আমি সাত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাব। এজন্য অনেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজে ভর্তি হয়নি। আমরা যখন ভর্তি পরীক্ষা দেই তখন আমাদের জানানো হয় যে ২৬ হাজার ১০৭টি আসন আছে। কিন্তু পরবর্তীতে চতুর্থ মনোনয়নের পর বলা হয় ২৩ হাজার ২৬২টি আসন আছে। তাহলে এই তিন হাজার আসন কোথায় গেল? কর্তৃপক্ষ বলেছেন এটা নাকি তথ্য গত ভুল ছিল। কিন্তু সেটা আমাদের আগে জানিয়ে দেয়া হলো না কেন? আমরা এই বিষয়ে অনেক জায়গায় গিয়েছি কোথাও কোন আশা পাইনি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি তিনি আমাদের এই বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

ইয়াছিন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে আমরা এখন ভর্তি হতে পারছি না। আমরা এখন পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত। কোথাও ভর্তি হতে পারিনি। আমরা অনেক আশায় ছিলাম এখানে ভর্তি হব। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করছে না এবং যেসব আসন ফাঁকা আছে সেগুলোও পূরণ করছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ আপনারা অভিভাবক হয়ে আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে বলবেন।

মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, তারা এখন আর ভর্তি করাবে না। তারা বলছে এটা নাকি তথ্য গত ভুল ছিল। আমরা চাই দ্রুত অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করে ফাঁকা তিন হাজার আসন পূরণ করা হোক।

রাকিব হাওলাদার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সাত-আট দিন থেকে ঘুরতেছি। আমরা কোথাও ভর্তি হইনি।এই তিন হাজার শিক্ষার্থী এখন কোথায় যাবে? আমরা এখন দিশেহারা হয়ে গিয়েছি। আমাদের অধিকারের জন্য এই জায়গায় দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই দ্রুত ফাঁকা আসন পূরণ করা হোক।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.