The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪

সন্তান হওয়ায় খাসি নিয়ে ঢোল পিটিয়ে কবিরাজের বাড়িতে দম্পতি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতব্বর পাড়ায় নাজমা কবিরাজের চিকিৎসায় এক দম্পতির জীবনে তাদের ঘরে ফুটফুটে এক ছেলেসন্তান এসেছে এমন খবর পাওয়া গেছে।

দম্পতি রানু আক্তার ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখার হাট এলাকার নুরুজ্জামানের স্ত্রী। তাদের ঘরে ১৫ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। এরপর আর কোনো সন্তান হয়নি।

রোববার (০২ জুন) সকালে সরেজমিনে নাজমা কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সন্তান কোলে নিয়ে মা রানু আক্তার ঢাকঢোল পিটিয়ে একটি খাসি ও মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে কবিরাজের বাড়িতে হাজির হয়েছেন।

এ নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খাসি হাতে এবং মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে নাচতে নাচতে নাজমা কবিরাজের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাদের দেখতে শত শত মানুষের ভিড় সৃষ্টি হয়েছে।

শিশুটির মা রানু আক্তার জানান, আমার স্বামী নুরুজ্জামান আগে ছিলেন প্রবাসে। এখন এয়ারপোর্টে চাকরি করেন। আমাদের ঘরে ১৫ বছর আগে একটি মেয়েসন্তান হয়। এরপর ১৫ বছরের মধ্যে আর কোনো সন্তান জন্ম নেয় না। এ নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। ডাক্তাররা বলেছেন- টিউব ব্লক হওয়ায় আমি আর বাচ্চা প্রসব করতে পারব না। এ কথা শুনে আমি একেবারেই ভেঙে পড়ি।

এরপর আমার মায়ের পরামর্শে আমি নাজমা কবিরাজের কাছে যাই। তিনি পানি পড়া দেন। এরপর দুই বছরের চিকিৎসা নেই নাজমা কবিরাজের কাছ থেকে। এরপরে কোলজুড়ে আমাদের এই ছেলে শিশু জন্ম নেয়। শিশুর ৭ মাস পূর্ণ হলো। শিশুর মুখে চিনি দিতে নাজমা কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে কবিরাজ নাজমা জানান, আমার কাছে জিন রয়েছে। আমি জিনের দ্বারা মানুষকে সেবা দিয়ে থাকি। আমি বলেছিলাম ওই দম্পতির বাচ্চা হবে। আল্লাহ কবুল করে নিয়েছে। আমি অনেক খুশি।

এ বিষয়ে উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গুলজার হোসেন কালবেলাকে বলেন, নাজমা কবিরাজের চিকিৎসায় ১৫ বছর পর রানু বেগম নামের এক মহিলার পুত্রসন্তান জন্ম হয়েছে। তাদের জন্য দোয়া রইল।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.