The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪

শিবির সন্দেহে পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থী আটক

পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিবির সন্দেহে তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তিন শিক্ষার্থী হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের গোলাম রহমান জয়, ইংরেজী বিভাগের আসাদুল ইসলাম এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের আজিজুল হক।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ১২টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশ থেকে ঐ তিন শিক্ষার্থীকে শিবিরের বই পুস্তক সহ আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর রাত একটার দিকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আনুমানিক বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে শিবিরের ১৫-২০ জন কর্মী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রবিরোধী গোপন মিটিং করছেন বলে খবর পান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় শিবিরের ছেলেরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থল থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের জয়, ইংরেজী বিভাগের আসাদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের আজিজকে ধরে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাদের কাছ থেকে শিবিরের কিছু বই ও নথি পাওয়া যায়। পরে রাত একটার দিকে প্রশাসনের সহায়তায় ঐ তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, যে ছেলেদের ধরা হয়েছে তারা শিবির কর্মী বলে স্বীকার করেছে। ওরা প্রশাসনের কাছে লিখিত দিয়েছে ওরা শিবির করে। আমরা প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, হল প্রভোস্ট সহ সবাইকে ফোন দেওয়ার পর প্রশাসনের সামনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।

তবে বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থী জয়ের শরীরে আঘাতের একটি ছবি ছড়িয়ে পরে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা তাদের কোন মারধর করিনি। প্রশাসনের সামনেই আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি, কাজেই মারধর করার কোন প্রশ্নই আসেনা। প্রশাসনের কাছে দেওয়ার পর কি হয়েছে সেই বিষয়ে আমরা বলতে পারবো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ঘটনা শুনে ছাত্র উপদেষ্টা, হল প্রাধ্যক্ষ সহ কয়েকজন শিক্ষক আমরা ঘটনাস্থলে যাই। শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা শিবির বলে স্বীকার করে নেয়। এ সময় তাদের কাছে শিবিরের বই-নথিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র পাই। আমরা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এখন পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন থানায় ফোন করে পুলিশে সহায়তা চান। তিনি জানান ক্যাম্পাসে শিবিরের কর্মী আটক হয়েছেন। তার ফোন পেয়ে আমরা সেখা উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই, তিন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছেন। পরে আমরা তাদের সেখান থেকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসি। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.