The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষার হার ৭৪.৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার হার ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন জাতির পিতা। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে সীমিত আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। করোনার মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অনলাইন, সংসদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশা করি সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন এবং শিক্ষার গুণগত-মান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. শিক্ষার হার ৭৪.৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার হার ৭৪.৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার হার ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন জাতির পিতা। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে সীমিত আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। করোনার মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অনলাইন, সংসদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশা করি সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন এবং শিক্ষার গুণগত-মান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন