The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সহায়তা চাইলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ আরও বেশি শান্তিরক্ষী সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় মহাসচিব শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের পূর্ণসমর্থনের কথা আবারও উল্লেখ করেন গুতেরেজ।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন গুতেরেজ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের বছরগুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে আরও সাফল্য অর্জন করবে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের উচ্চ পর্যায়ের পদে এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিভিন্ন রাজনৈতিক মিশনে মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) পদে আরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক নিয়োগের জন্য মহাসচিব গুতেরেজকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

ইউক্রেন সংকটজনিত কারণে ব্যস্ত সময়সূচি থাকা সত্ত্বেও এ বৈঠকের সুযোগ দেওয়ার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্কে সফররত মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের নবনিযুক্ত বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক দেশগুলোসহ সব অংশীজনদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বিশেষ দূতকে অনুরোধ জানান।

বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, রাখাইন রাজ্যে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে, নিরাপত্তার সঙ্গে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারে।

এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনার বিস্তার রোধ এবং রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলাম-ভিত্তিক শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা বিশেষদূতকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভাসান চরে এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আবাসন তৈরির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সেখানে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গারা জীবিকা নির্বাহের কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন, স্বদেশে ফেরার তেমন কোনো আশা নেই দেখে রোহিঙ্গারা ক্রমশ: অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। তিনি বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারকে যত দ্রুত সম্ভব কক্সবাজার ক্যাম্প ও ভাসান চর পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

বিশেষ দূত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার সহানুভূতি ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি তার সর্বোচ্চ এজেন্ডা এবং যত দ্রুত সম্ভব এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তিনি আঞ্চলিক দেশগুলো, আন্তর্জাতিক সংস্থা, রোহিঙ্গা নেতা এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষসহ সব অংশীজনদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকবেন।

উভয় বৈঠকে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. মো. মনোয়ার হোসেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.