The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

রাবিতে এমপি বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি: রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাবি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও খুনি আখ্যা দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করায় তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পর তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারপর
সেখানে সকল শিক্ষার্থী একযোগে থুথু ও লাতি মারতে থাকেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধনে ফজলে হোসেন বাদশার এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে মার্কেটে রাবি শিক্ষার্থীরা এই কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

গতকাল মানববন্ধনে রাবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তাকে হত্যা করে আপনারা রামেকে এনেছিলেন। আর পরিবারকে হুমকি দিয়ে কোনো পোস্টমর্টেম করাতে দেননি। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছি। আমরা চাই কবর থেকে ডেডবডি তুলে পোস্টমার্টেম করা হোক। শাহরিয়ারকে ডাক্তাররা মৃত অবস্থায় পেয়েছিল। তার পালস ছিল না এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। তার মগজ হলে পড়েছিল। তাকে মৃত অবস্থায় রামেকে নিয়ে এসেছিল।

আর পুলিশকে আমরা বলতে চাই, সেই রাতে কারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছিল তাদের ভিডিও বহুজায়গায় আছে। তাদের চিহ্নিত করা হোক তারা কে? তাদের কী পরিচয়? তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল? কেন ইন্টার্ন ডাক্তারদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে? তাদের মুখ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হোক হত্যাকারী কে? অন্যায়কারী কে? কেন তারা এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছিলো?

এর আগে তার এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদে বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ২ ঘন্টা যাবত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। এসময় নয় দফা দাবি জানান তারা।

এর আগে, বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রামেকে নেওয়ার ৩৫ মিনিট পর বিনা চিকিৎসায় আহত শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের সামনে ও পরিচালক কক্ষের সামনে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতাল স্টাফরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। হামলায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে গেছে ও আরেকজনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইটার্ন চিকিৎসকদের দাবি রাবি শিক্ষার্থীরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. রাবিতে এমপি বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো শিক্ষার্থীরা

রাবিতে এমপি বাদশার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি: রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাবি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও খুনি আখ্যা দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করায় তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পর তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারপর
সেখানে সকল শিক্ষার্থী একযোগে থুথু ও লাতি মারতে থাকেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধনে ফজলে হোসেন বাদশার এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে মার্কেটে রাবি শিক্ষার্থীরা এই কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

গতকাল মানববন্ধনে রাবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তাকে হত্যা করে আপনারা রামেকে এনেছিলেন। আর পরিবারকে হুমকি দিয়ে কোনো পোস্টমর্টেম করাতে দেননি। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছি। আমরা চাই কবর থেকে ডেডবডি তুলে পোস্টমার্টেম করা হোক। শাহরিয়ারকে ডাক্তাররা মৃত অবস্থায় পেয়েছিল। তার পালস ছিল না এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। তার মগজ হলে পড়েছিল। তাকে মৃত অবস্থায় রামেকে নিয়ে এসেছিল।

আর পুলিশকে আমরা বলতে চাই, সেই রাতে কারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছিল তাদের ভিডিও বহুজায়গায় আছে। তাদের চিহ্নিত করা হোক তারা কে? তাদের কী পরিচয়? তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল? কেন ইন্টার্ন ডাক্তারদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে? তাদের মুখ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হোক হত্যাকারী কে? অন্যায়কারী কে? কেন তারা এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছিলো?

এর আগে তার এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদে বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ২ ঘন্টা যাবত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। এসময় নয় দফা দাবি জানান তারা।

এর আগে, বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রামেকে নেওয়ার ৩৫ মিনিট পর বিনা চিকিৎসায় আহত শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের সামনে ও পরিচালক কক্ষের সামনে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক, হাসপাতাল স্টাফরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। হামলায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে গেছে ও আরেকজনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইটার্ন চিকিৎসকদের দাবি রাবি শিক্ষার্থীরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছেন।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন