The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

যে কাজগুলো করলে আপনাকে দেখতে অল্প বয়সী মনে হবে

আগে বয়স বেড়ে যাওয়া মানেই ধরে নেওয়া হতো চুল সাদা, চামড়া কুঁচকে যাওয়া। কিন্তু বর্তমানে অনেকে সচেতন হতে শুরু করেছেন। ফলে বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়ছে না চেহারায়। সময়কে তো আর আটকে রাখা যায় না, তবে আপনার কিছু কাজের মাধ্যমে চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব। বয়স ধরে রাখতে হলে নিজকে রাখতে হবে স্বাস্থ্যবান এবং আত্মবিশ্বাসী।  চলুন জেনে নেওয়া যাক, যে উপায়ে নিজের বয়স ধরে রাখতে পারেন-

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিনের জীবনে ধীরে ধীরে এটি সংযোজন করতে পারেন। প্রতিদিনের হাঁটাহাঁটির মাধ্যমেও এটি শুরু করতে পারেন। যোগব্যায়াম করতে পারেন। খুব ভালোভাবে অন্যান্য ব্যায়ামগুলো করতে চাইলে নিজের জন্য ট্রেইনারও রাখতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের পুষ্টিবিদ হেথার ম্যাঙ্গিয়েরি মনে করেন, পানি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এর ঘাটটিতে হতে পারে ডিহাইড্রেশনও। যার নেতিবাচক প্রভাব পরে মেজাজ, এনার্জি এবং ফোকাস করার ক্ষমতায়। তিনি আরও বলেন, ডিহাইড্রেশনের ফলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। যে কারণে ত্বক কুঁচকে যায়। ম্যাঙ্গেরির মতে, সকালে পানি পান করা দিয়ে দিন শুরু করা উচিত এবং সারাদিন ধরে পর্যাপ্ত পর্যাপ্ত পান করা উচিত।

গ্রিন টি পান করুনঃ গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করা ভালো। বিশেষ করে যদি আপনি আর্থ্রাইটিস বা ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এর মতো কোনো প্রদাহজনক সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি আপনার জন্য আরও উপকারী।

মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুনঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ শুরু হওয়ার পর। ডাঃ পিঙ্কারটন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন বিষণ্ণতার উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না। কারণ মেনোপজের পর হরমোনের পরিবর্তন হতাশা বাড়াতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ অল্প বয়সে ঘুম কম হলে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম কমতে শুরু করলে শরীর সায় নাও দিতে পারে। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ডাঃ পিঙ্কারটনের মতে, প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। [সূত্র: প্রিভেনশন ডটকম]

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. লাইফ স্টাইল
  3. যে কাজগুলো করলে আপনাকে দেখতে অল্প বয়সী মনে হবে

যে কাজগুলো করলে আপনাকে দেখতে অল্প বয়সী মনে হবে

আগে বয়স বেড়ে যাওয়া মানেই ধরে নেওয়া হতো চুল সাদা, চামড়া কুঁচকে যাওয়া। কিন্তু বর্তমানে অনেকে সচেতন হতে শুরু করেছেন। ফলে বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়ছে না চেহারায়। সময়কে তো আর আটকে রাখা যায় না, তবে আপনার কিছু কাজের মাধ্যমে চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব। বয়স ধরে রাখতে হলে নিজকে রাখতে হবে স্বাস্থ্যবান এবং আত্মবিশ্বাসী।  চলুন জেনে নেওয়া যাক, যে উপায়ে নিজের বয়স ধরে রাখতে পারেন-

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিনের জীবনে ধীরে ধীরে এটি সংযোজন করতে পারেন। প্রতিদিনের হাঁটাহাঁটির মাধ্যমেও এটি শুরু করতে পারেন। যোগব্যায়াম করতে পারেন। খুব ভালোভাবে অন্যান্য ব্যায়ামগুলো করতে চাইলে নিজের জন্য ট্রেইনারও রাখতে পারেন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের পুষ্টিবিদ হেথার ম্যাঙ্গিয়েরি মনে করেন, পানি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এর ঘাটটিতে হতে পারে ডিহাইড্রেশনও। যার নেতিবাচক প্রভাব পরে মেজাজ, এনার্জি এবং ফোকাস করার ক্ষমতায়। তিনি আরও বলেন, ডিহাইড্রেশনের ফলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। যে কারণে ত্বক কুঁচকে যায়। ম্যাঙ্গেরির মতে, সকালে পানি পান করা দিয়ে দিন শুরু করা উচিত এবং সারাদিন ধরে পর্যাপ্ত পর্যাপ্ত পান করা উচিত।

গ্রিন টি পান করুনঃ গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাই প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি পান করা ভালো। বিশেষ করে যদি আপনি আর্থ্রাইটিস বা ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এর মতো কোনো প্রদাহজনক সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এটি আপনার জন্য আরও উপকারী।

মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুনঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ শুরু হওয়ার পর। ডাঃ পিঙ্কারটন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন বিষণ্ণতার উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না। কারণ মেনোপজের পর হরমোনের পরিবর্তন হতাশা বাড়াতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ অল্প বয়সে ঘুম কম হলে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম কমতে শুরু করলে শরীর সায় নাও দিতে পারে। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ডাঃ পিঙ্কারটনের মতে, প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। [সূত্র: প্রিভেনশন ডটকম]

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন