The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩

যত বড় ভুঁড়ি, তত সম্মানিত পুরুষ: ভঁড়িই সৌন্দর্যের মাপকাঠি!

পেটে মেদ বেড়ে যাচ্ছে, আয়তন বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেকেরই আফসোসের শেষ নেই। কোনোমতেই পেটকে সামলে রাখা যাচ্ছে না, দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

অথচ এই ভুঁড়িই নাকি দক্ষিন ইথিওপিয়ার বোদি জাতির কাছে সৌন্দর্যের মাপকাঠি! এমনকি এই পেটই এনে দিতে পারে সেরার খেতাব! পুরস্কার জিততে এই গোষ্ঠীর পুরুষরা ছয় মাস ধরে খেয়ে খেয়ে নিজের ভুঁড়ি বড় করে থাকেন।

সবচেয়ে সেরা হতে বিরাট ভুঁড়ি বানিয়ে দেখাতে হয় তাদের। আর মোটা হতে তারা নিয়মিত গরুর রক্ত এবং দুধের মিশ্রণ পান করেন।

প্রতি বছর নববর্ষের সময় কায়েল নামে ওই উৎসবের ছয় মাস আগে গ্রামের কিছু তরুণকে বাছাই করা হয় প্রতিযোগিতার জন্য। ওই ছয় মাস তারা সবার থেকে আলাদা থেকে এক ভিন্ন জীবানাচার পালন করে। সেখানে তাদের বিশেষ খাবার এবং পানীয় খাওয়ানো হয়। উৎসবের সময় তারা তাদের নাদুসনুদুস শরীর প্রদর্শন করে। সেই শরীর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে পারলেই, বাকি জীবনের জন্য গ্রামে নায়কের সম্মান পাওয়া যায়।

বছরের জুন ও জুলাইয়ে উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকে পুরুষরা নিজেদের মাটি ও ছাই দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর উৎসবের দিনে ভুঁড়ি নিয়ে প্যারেড করে। সেখানেই বাকিরা সবচেয়ে বেশি বড় ভুঁড়িওয়ালাকে ভোট দেয়। নির্বাচিত ব্যক্তিই পরবর্তীতে সম্মান লাভ করে। যদিও উৎসবের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা আবারও ভুঁড়ি কমিয়ে আগের অবস্থায় চলে আসেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি সারাজীবনের জন্য অবসর গ্রহণ করেন। তিনি যা চান, তা-ই হাতের কাছে পেয়ে যান। তার সব চাহিদা পূরণ করেন বোদিরা। তিনি নিজের খুশিমতো যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারেন। এমনকি বিয়ে ছাড়া পছন্দ হলেই একাধিক বোদি নারীর সঙ্গে মিলিতও হতে পারেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. যত বড় ভুঁড়ি, তত সম্মানিত পুরুষ: ভঁড়িই সৌন্দর্যের মাপকাঠি!

যত বড় ভুঁড়ি, তত সম্মানিত পুরুষ: ভঁড়িই সৌন্দর্যের মাপকাঠি!

পেটে মেদ বেড়ে যাচ্ছে, আয়তন বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেকেরই আফসোসের শেষ নেই। কোনোমতেই পেটকে সামলে রাখা যাচ্ছে না, দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

অথচ এই ভুঁড়িই নাকি দক্ষিন ইথিওপিয়ার বোদি জাতির কাছে সৌন্দর্যের মাপকাঠি! এমনকি এই পেটই এনে দিতে পারে সেরার খেতাব! পুরস্কার জিততে এই গোষ্ঠীর পুরুষরা ছয় মাস ধরে খেয়ে খেয়ে নিজের ভুঁড়ি বড় করে থাকেন।

সবচেয়ে সেরা হতে বিরাট ভুঁড়ি বানিয়ে দেখাতে হয় তাদের। আর মোটা হতে তারা নিয়মিত গরুর রক্ত এবং দুধের মিশ্রণ পান করেন।

প্রতি বছর নববর্ষের সময় কায়েল নামে ওই উৎসবের ছয় মাস আগে গ্রামের কিছু তরুণকে বাছাই করা হয় প্রতিযোগিতার জন্য। ওই ছয় মাস তারা সবার থেকে আলাদা থেকে এক ভিন্ন জীবানাচার পালন করে। সেখানে তাদের বিশেষ খাবার এবং পানীয় খাওয়ানো হয়। উৎসবের সময় তারা তাদের নাদুসনুদুস শরীর প্রদর্শন করে। সেই শরীর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে পারলেই, বাকি জীবনের জন্য গ্রামে নায়কের সম্মান পাওয়া যায়।

বছরের জুন ও জুলাইয়ে উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকে পুরুষরা নিজেদের মাটি ও ছাই দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর উৎসবের দিনে ভুঁড়ি নিয়ে প্যারেড করে। সেখানেই বাকিরা সবচেয়ে বেশি বড় ভুঁড়িওয়ালাকে ভোট দেয়। নির্বাচিত ব্যক্তিই পরবর্তীতে সম্মান লাভ করে। যদিও উৎসবের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা আবারও ভুঁড়ি কমিয়ে আগের অবস্থায় চলে আসেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি সারাজীবনের জন্য অবসর গ্রহণ করেন। তিনি যা চান, তা-ই হাতের কাছে পেয়ে যান। তার সব চাহিদা পূরণ করেন বোদিরা। তিনি নিজের খুশিমতো যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারেন। এমনকি বিয়ে ছাড়া পছন্দ হলেই একাধিক বোদি নারীর সঙ্গে মিলিতও হতে পারেন।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন