The Rising Campus
News Media
শনিবার, ১লা এপ্রিল, ২০২৩

মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

মোবাইল অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট সেবার ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ছে।

এতদিন মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেট সেবার বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিয়ে আসছিল, গত ১ জুলাই থেকে সেটি ১৫ শতাংশ আদায় করছে। ফলে ৬-৮ শতাংশ বেশি দামে গ্রাহকদের ইন্টারনেট কিনতে হবে।

গত ৩০ জুন মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) চিঠি দিয়ে বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানায়।

বর্তমানে মোবাইল অপারেটরগুলো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাটের বিপরীতে রেয়াত গ্রহণ করতে পারছে না অপারেটরগুলো। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিলে রেয়াত গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। তাই অপারেটরগুলো ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে চাইছে। এতে অপারেটরগুলোর সুবিধা হলেও গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ ইন্টারনেট কেনায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বেশি দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, গত এক বছর অপারেটরগুলো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়েছে। হ্রাসকৃত হার হওয়ায় এই ভ্যাট সমন্বয় করা যায়নি। ফলে কার্যকরি ভ্যাট হার ১৭ শতাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া চলতি বাজেটে ভ্যাট আইনে যেসব সংশোধন আনা হয়েছে, তা হিসাব-নিকাষকে আরও জটিল করে তুলেছে। তাই সব অপারেটর ইন্টারনেট প্যাকেজের ওপর ১৫ শতাংশ আদর্শ হারে ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি জানান, এতে ইন্টারনেটের দাম ৬-৮ শতাংশ বাড়তে পারে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি
  3. মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

মোবাইল অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট সেবার ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ছে।

এতদিন মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেট সেবার বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিয়ে আসছিল, গত ১ জুলাই থেকে সেটি ১৫ শতাংশ আদায় করছে। ফলে ৬-৮ শতাংশ বেশি দামে গ্রাহকদের ইন্টারনেট কিনতে হবে।

গত ৩০ জুন মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) চিঠি দিয়ে বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানায়।

বর্তমানে মোবাইল অপারেটরগুলো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাটের বিপরীতে রেয়াত গ্রহণ করতে পারছে না অপারেটরগুলো। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিলে রেয়াত গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। তাই অপারেটরগুলো ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে চাইছে। এতে অপারেটরগুলোর সুবিধা হলেও গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ ইন্টারনেট কেনায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বেশি দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, গত এক বছর অপারেটরগুলো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়েছে। হ্রাসকৃত হার হওয়ায় এই ভ্যাট সমন্বয় করা যায়নি। ফলে কার্যকরি ভ্যাট হার ১৭ শতাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া চলতি বাজেটে ভ্যাট আইনে যেসব সংশোধন আনা হয়েছে, তা হিসাব-নিকাষকে আরও জটিল করে তুলেছে। তাই সব অপারেটর ইন্টারনেট প্যাকেজের ওপর ১৫ শতাংশ আদর্শ হারে ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি জানান, এতে ইন্টারনেটের দাম ৬-৮ শতাংশ বাড়তে পারে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন