The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

ভয় পেলে শরীরের লোম দাঁড়ায় কেন?

ভুতের সিনেমা দেখার সময় শরীরটা কেমন শিউরে ওঠে খেয়াল করেছো? ভয় লাগলে শরীরের লোম সব খাড়া হয়ে যায়। শুধু ভয় না, স্নান করার সময়, শীত লাগলে, কান্না করলেও আমাদের শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়।

মানে প্রচণ্ড আবেগের পরিস্থিতিতে লোমকূপ ফুলে উঠে এবং লোম খাড়া হয়। কিন্তু এটি কেন হয় জানো?

ত্বকের ক্ষুদ্র মাংসপেশির সংকোচন প্রতিটি চুলকে সংযুক্ত করে। প্রতিটি সংকুচিত মাংসপেশি ত্বকের উপরিভাগে একটি অগভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি করে; যার ফলে ওই অঞ্চল উদ্দীপ্ত হয়। মাংসপেশির এই সংকোচনের ফলেই ঠাণ্ডা লাগলে লোম খাড়া হয়ে যায়।
পুরু লোমওয়ালা প্রাণীদের ক্ষেত্রে খাড়া হয়ে যাওয়া লোম বাতাস নিরোধক হিসেবে কাজ করে। খাড়া পুরু লোম তাদের শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পরিমাণে বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এটি হয় না। কারণ আমাদের লোম এতোটা পুরু নয়।
এবার আসল কথায় ফেরা যাক, বিভিন্ন আবেগের অবস্থার কথা বলছিলাম; বিভিন্ন আবেগ বা অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তির সম্মুখীন হলে অবচেতভাবে স্ট্রেস হরিমোন নিঃসৃত হয় যার নাম বৃক্করস। এটি কেবলমাত্র ত্বকের পেশিকেই সংকুচিত করে না অন্যান্য শরীবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

ঠাণ্ডা লাগলে, ভয় পেলে বা শক্তিশালী আবেগের অবস্থার মুখোমুখি হলে বৃক্করস নিঃসৃত হয়। বৃক্করসের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে- লোম খাড়া হয়ে যাওয়া, চোখের জল, ঘাম, উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. লাইফ স্টাইল
  3. ভয় পেলে শরীরের লোম দাঁড়ায় কেন?

ভয় পেলে শরীরের লোম দাঁড়ায় কেন?

ভুতের সিনেমা দেখার সময় শরীরটা কেমন শিউরে ওঠে খেয়াল করেছো? ভয় লাগলে শরীরের লোম সব খাড়া হয়ে যায়। শুধু ভয় না, স্নান করার সময়, শীত লাগলে, কান্না করলেও আমাদের শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়।

মানে প্রচণ্ড আবেগের পরিস্থিতিতে লোমকূপ ফুলে উঠে এবং লোম খাড়া হয়। কিন্তু এটি কেন হয় জানো?

ত্বকের ক্ষুদ্র মাংসপেশির সংকোচন প্রতিটি চুলকে সংযুক্ত করে। প্রতিটি সংকুচিত মাংসপেশি ত্বকের উপরিভাগে একটি অগভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি করে; যার ফলে ওই অঞ্চল উদ্দীপ্ত হয়। মাংসপেশির এই সংকোচনের ফলেই ঠাণ্ডা লাগলে লোম খাড়া হয়ে যায়।
পুরু লোমওয়ালা প্রাণীদের ক্ষেত্রে খাড়া হয়ে যাওয়া লোম বাতাস নিরোধক হিসেবে কাজ করে। খাড়া পুরু লোম তাদের শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পরিমাণে বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এটি হয় না। কারণ আমাদের লোম এতোটা পুরু নয়।
এবার আসল কথায় ফেরা যাক, বিভিন্ন আবেগের অবস্থার কথা বলছিলাম; বিভিন্ন আবেগ বা অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তির সম্মুখীন হলে অবচেতভাবে স্ট্রেস হরিমোন নিঃসৃত হয় যার নাম বৃক্করস। এটি কেবলমাত্র ত্বকের পেশিকেই সংকুচিত করে না অন্যান্য শরীবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

ঠাণ্ডা লাগলে, ভয় পেলে বা শক্তিশালী আবেগের অবস্থার মুখোমুখি হলে বৃক্করস নিঃসৃত হয়। বৃক্করসের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে- লোম খাড়া হয়ে যাওয়া, চোখের জল, ঘাম, উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন