The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

বিসিএসের ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল

৪১তম বিসিএসের প্রায় ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল পাওয়া গেছে। এই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খাতা দেখার কাজ শেষ করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

পিএসসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ হাজার ৫৬ জন। সবগুলো বিষয়ের খাতার সংখ্যা জানা না গেলেও কেবল আবশ্যিক বিষয়ের খাতার সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৩৩৬টি। ফলে কেবল আবশ্যিক বিষয় হিসেব করলে প্রতি আটটি খাতার মধ্যে একটি খাতার নম্বরে গড়মিল হয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, পিএসসি নিজস্ব কোনো পরীক্ষক নেই। তারা ধার করা পরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করেন। এজন্য প্রত্যেকটি বিসিএসে আলাদা আলাদা পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করেন। অন্যান্য বিসিএসে প্রথম এবং দ্বিতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়নের মধ্যে খাতা দেখা সীমাবদ্ধ থাকলেও ৪১তম বিসিএসে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হচ্ছে। এতে ফল প্রকাশে কিছুটা বেশি সময় লাগছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র এক কর্মকর্তা জানান, ২০ নম্বরের গড়মিল যদি অল্প কিছু খাতায় দেখা যেত তাহলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানোর প্রয়োজন হত না। তবে সংখ্যাটা ১৫ হাজার হওয়ায় বাধ্য হয়েই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। যে পরীক্ষকরা এই ধরনের ভুল করেছেন তাদের পরবর্তীতে আর খাতা দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়নের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খাতা দেখা কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কমিশন সভা করে ফল প্রকাশ করবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি’র চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, কিছু পরীক্ষকের ভুলের কারণে ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা দ্রুত ফল প্রকাশের জন্য চেষ্টা করছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. বিসিএসের ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল

বিসিএসের ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল

৪১তম বিসিএসের প্রায় ১৫ হাজার খাতায় ২০ নম্বরের গড়মিল পাওয়া গেছে। এই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। খাতা দেখার কাজ শেষ করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

পিএসসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ হাজার ৫৬ জন। সবগুলো বিষয়ের খাতার সংখ্যা জানা না গেলেও কেবল আবশ্যিক বিষয়ের খাতার সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৩৩৬টি। ফলে কেবল আবশ্যিক বিষয় হিসেব করলে প্রতি আটটি খাতার মধ্যে একটি খাতার নম্বরে গড়মিল হয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, পিএসসি নিজস্ব কোনো পরীক্ষক নেই। তারা ধার করা পরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করেন। এজন্য প্রত্যেকটি বিসিএসে আলাদা আলাদা পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করেন। অন্যান্য বিসিএসে প্রথম এবং দ্বিতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়নের মধ্যে খাতা দেখা সীমাবদ্ধ থাকলেও ৪১তম বিসিএসে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হচ্ছে। এতে ফল প্রকাশে কিছুটা বেশি সময় লাগছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র এক কর্মকর্তা জানান, ২০ নম্বরের গড়মিল যদি অল্প কিছু খাতায় দেখা যেত তাহলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানোর প্রয়োজন হত না। তবে সংখ্যাটা ১৫ হাজার হওয়ায় বাধ্য হয়েই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। যে পরীক্ষকরা এই ধরনের ভুল করেছেন তাদের পরবর্তীতে আর খাতা দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়নের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খাতা দেখা কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কমিশন সভা করে ফল প্রকাশ করবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি’র চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, কিছু পরীক্ষকের ভুলের কারণে ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা দ্রুত ফল প্রকাশের জন্য চেষ্টা করছি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন